উলুবেড়িয়া পুলকার দুর্ঘটনায় তিন খুদের মৃত্যু প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলকারগুলির প্রতি নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু হাওড়া ও হুগলি— দুই জেলার অভিভাবকদের প্রশ্ন, নজর দেওয়া হলেও কত দিনের জন্য! দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের প্রতিদিন যে গাড়িগুলি নিয়ে ছুটছে, সেগুলিকে নির্দিষ্ট নিয়মের বেড়াজালে আনার দাবি তুলছে নাগরিক সমাজ।
চায়না মণ্ডল নামে উলুবেড়িয়ার এক অভিভাবক বলেন, ‘‘ছেলের স্কুল থেকে গাড়ি ঠিক করে দেয়। সেই গাড়ি বাড়ির সামনে এসে নিয়ে যায়। গাড়ির কাগজ দেখা অভিভাবকদের পক্ষে কি সম্ভব?’’ চুঁচুড়া হাই কোর্টের আইনজীবী ব্যান্ডেলের নারায়ণ দেবনাথের কথায়, ‘‘প্রতিদিনই দ্রুত গতির পুলকারের দেখা মেলে। কোনওটার স্বাস্থ্য ঠিক নয় বলে মনে হয়। পুলিশের নজরদারি দরকার।’’
চুঁচুড়া বালিকা বাণীমন্দির স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের সরকারি স্কুল। কে, কোন গাড়িতে আসছে আমরা জানি না। গাড়িগুলির পরিস্থিতি দেখার সরকারি নির্দেশিকাও নেই।’’ ব্যান্ডেল গান্ধী কলোনির একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের চেয়ারম্যান প্রভাসচন্দ্র ঘোষ বলছেন, ‘‘পরিবহণ দফতর বা পুলিশের নজরদারি বাড়লে ভাল হয়।’’ উলুবেড়িয়ার একটি স্কুলের শিক্ষিকা রিতা সেনের কথায়, ‘‘গাড়ির কাগজ পরীক্ষা করা হয়। গাড়ির কাগজে গোলমাল বা যন্ত্রাংশে সমস্যা থাকলে তা মিটিয়ে পথে নামানো হয়।’’
চন্দননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগের এক কর্তা জানান, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চললে, চালক মত্ত থাকলে বা বিমার মেয়াদ পেরিয়ে গেলে পুলিশ গাড়িটিকে আটকাতে পারে। তার বাইরে গাড়ি ধরার ক্ষমতা পরিবহণ দফতরের হাতে। অনেক সময়ে চাইলেও পড়ুয়ারা থাকায় গাড়ি ছেড়ে দিতে হয়। তাই দুর্ঘটনা এড়ানোর সব থেকে ভাল উপায়, লাগাতার সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
এ দিন হুগলির আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক শুভাশিস ঘোষকে বার বার ফোন করা হলে তিনি ধরেননি, প্রতিক্রিয়াও মেলেনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)