দূরপাল্লার ট্রেনের হাওড়া স্টেশনে ঢোকার ক্ষেত্রে অপেক্ষার সময় কমাতে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মটি নতুন করে গড়ে তুলেছে রেল। এত দিন ওই প্ল্যাটফর্ম মূলত বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহার করা হত। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকারী ট্রেন এবং কিছু ক্ষেত্রে রেলের পরিদর্শন যান ছাড়ার কাজে ওই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করত রেল।
সম্প্রতি হাওড়া স্টেশনে দূরপাল্লার গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্য প্ল্যাটফর্মগুলির উপরে চাপ বাড়ছিল। সেই চাপ কমাতে ইতিমধ্যেই ১ থেকে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কয়েকটির কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মটি বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে সেটির সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কয়েক বছর আগে। প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্যের পাশাপাশি সেটির প্রস্থ বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। ১২ কোচের ইএমইউ লোকাল ছাড়াও ২৪ কোচের পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ট্রেন যাতে ওই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতে পারে, সেই লক্ষ্যে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য ৩১২ মিটার থেকে বাড়িয়ে ৬০০ মিটার করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ওই প্ল্যাটফর্মের আগের চেহারা বদলে সেটির প্রস্থ আরও দু’মিটার বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে নতুন প্ল্যাটফর্ম আরও প্রশস্ত হবে। নতুন প্ল্যাটফর্মের ছাউনির দৈর্ঘ্য আগের দ্বিগুণ করা হয়েছে। এর ফলে প্ল্যাটফর্মের পুরো অংশই ছাউনির নীচে চলে এসেছে।
এত দিন কার্যত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। এ বার সেটির সংস্কার করে নতুন রূপে গড়ে তোলার ফলে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির হাওড়া স্টেশনে ঢোকার ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে ঢোকার ক্ষেত্রে অপেক্ষার সময়
কমবে বলে জানাচ্ছেন রেলের আধিকারিকেরা। স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই কাজ গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করছেন তাঁরা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)