E-Paper

চালককে খুন করে ট্রাক নিয়ে চম্পট, ধৃত মূল অভিযুক্ত

তদন্তে ডায়মন্ড হারবারের আর এক বাসিন্দা তথা ওয়াইদুলের বন্ধু শেখ ফিরোজের খোঁজ পান তদন্তকারীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ০৯:৩৮
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

লিলুয়ায় জাতীয় সড়কের ধারে ঝোপ থেকে সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের দেহ।ময়না তদন্তে জানা গিয়েছিল, বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। গত শুক্রবারের ওই ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতের পরিচয় জানার পাশাপাশি এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম মহম্মদ ওয়াইদুল। লরি চালানোর সুবাদে ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা ওই যুবক জগৎবল্লভপুরের কুলগাছিয়ায় এসেছিলেন। তার পর থেকে ওয়াইদুলের খোঁজ ছিল না। দেহ উদ্ধারের সময়েও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তদন্তে নেমে প্রথমে ওয়াইদুলের পরিচয় বার করে পুলিশ। এর পরে জাতীয় সড়কের ধারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করতেই তদন্তের মোড় ঘুরে যায়। ঘটনার তদন্তে নামেন লিলুয়া থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা।

তদন্তে ডায়মন্ড হারবারের আর এক বাসিন্দা তথা ওয়াইদুলের বন্ধু শেখ ফিরোজের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। বছর আটত্রিশের ওই যুবকও লরি চালানোর সঙ্গে যুক্ত। শনিবার রাতে শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুর থেকে ফিরোজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৪ চাকার একটি ট্রাক। ফিরোজের সঙ্গে আরও এক যুবক ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে জেনেছে পুলিশ। তার খোঁজ চলছে।

সূত্রের খবর, ওয়াইদুলের সঙ্গেই গাড়িতে এসেছিল ফিরোজ। তাকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে ওয়াইদুলের সঙ্গে বচসা বাধায় ফিরোজ। তার পরে প্রথমে লোহার রড দিয়ে ওয়াইদুলের মাথায় মারে। এর পরে রক্তাক্ত ওই যুবকের গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে দেহটি জাতীয় সড়কের ধারে ঝোপে ফেলে দিয়ে ট্রাক নিয়ে চম্পট দেয় ফিরোজ। ওই ট্রাকে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার জিনিস ছিল।

পুলিশ সূত্রের খবর, ফিরোজের বিরুদ্ধে আগেও ডাকাতি এবং লরি অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় ফিরোজ গ্রেফতারও হয়েছিল। সম্প্রতি ওয়াইদুলের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় সে। দু’জনে একসঙ্গে লরি চালাতে শুরু করেছিল। কিন্তু আদতে ফিরোজের পরিকল্পনা ছিল ওয়াইদুলের থেকে ট্রাক অপহরণ করার।

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ফিরোজ আরও এক দুষ্কৃতীকে নিয়ে ওয়াইদুলের ট্রাকে উঠেছিল। ওয়াইদুলকে খুন করা থেকে দেহ ঝোপে ফেলে ট্রাক নিয়ে চম্পট দেওয়া— পুরো ঘটনা-পর্বে যুক্ত ছিল ওই দুষ্কৃতী। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। আরও এক জনের খোঁজ চলছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

liluah

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy