E-Paper

আজ থেকে আলুর দাম কমবে, জোড়া আশ্বাস

জেলার অন্যতম বড় পাইকারি বাজার শেওড়াফুলি কৃষক বাজারে হিমঘরের আলু পৌঁছয়নি। যে কয়েক জন পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে আলু মজুত ছিল, তা চড়া দামে বিক্রি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ০৯:০১
-

—প্রতীকী চিত্র।

চন্দ্রমুখী আলু সেই ৪০ টাকা কেজি। জ্যোতি ৩৫ টাকা।

আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন বুধবার দুপুরেই। তার ২৪ ঘণ্টা পরেও, বৃহস্পতিবার হুগলিতে আলুর দাম একই রয়ে গেল! ব্যবসায়ীদের অবশ্য দাবি, বুধবার বিকেল থেকে জেলার হিমঘরগুলির আলু বের করা শুরু হয়েছে। তা আজ, শুক্রবার বাজারে পৌঁছে যাবে। জোগানে সমস্যা না-থাকায় দামও আজ থেকে নিয়ন্ত্রণে আসবে। একই দাবি কৃষি বিপণন মন্ত্রীরও।

পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, “শুক্রবার সকালের মধ্যে হিমঘরের আলু বাজারে পৌঁছে যাবে। যে পরিমাণ দরকার, তার চেয়ে বেশিই পৌঁছবে। ফলে, তার প্রভাবও সকাল থেকেই পড়বে।” সার্বিক ভাবে আলুর জোগান এবং দাম ইতিমধ্যে আয়ত্তে এসে গিয়েছে জানিয়ে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি বাজার ছাড়া সারা রাজ্যেই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ হতে শুরু করেছে। রাতে আরও আলু বাজারে পৌঁছবে। শুক্রবার থেকে সম্পূর্ণ ভাবে দর নিয়ন্ত্রিত হবে।”

এ দিন জেলার অন্যতম বড় পাইকারি বাজার শেওড়াফুলি কৃষক বাজারে হিমঘরের আলু পৌঁছয়নি। যে কয়েক জন পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে আলু মজুত ছিল, তা চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। চন্দ্রমুখী আলুর বস্তা ১৭০০-১৮০০ টাকায় (৫০ কেজিতে এক বস্তা বা প্যাকেট) এবং জ্যোতি আলুর বস্তা ১৫৫০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একই হাল আরামবাগের পুরনো সব্জি বাজার-সহ জেলার অন্য বাজারেও। খুচরো বাজারে চন্দ্রমুখী ৪০ ও জ্যোতি আলু ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

শেওড়াফুলির বাজারের ব্যবসায়ীরা অবশ্য মনে করছেন, দাম কমতে এবং জোগান ঠিক হতে আরও দু’তিন দিন লাগবে। প্রসঙ্গত, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারি
স্তরে বাজারে পরিদর্শন চলছে। কোথাও চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনে ২৬ টাকা দরে বেচা হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে। তবে, জেলা কৃষি বিপণন দফতরের তত্ত্বাবধানে সরকারি মূল্যে আলু বিক্রির ভ্রাম্যমান কেন্দ্র চাহিদার তুলনায় নিতান্তই কম বলে অভিযোগ।

বৃহস্পতিবারেও গ্রামীণ হাওড়ায় আলুর বাজার চড়া ছিল। চন্দ্রমুখীর দেখা কার্যত মেলেনি। জ্যোতি আলু পাওয়া গেলেও দাম বেশি দিতে হয়েছে। উলুবেড়িয়ার আলু ব্যবসায়ী সনৎ মান্নার বক্তব্য, ধর্মঘটের ফলে দু’একদিন আলুর টান ছিল।
চন্দ্রমুখী পাওয়া যাচ্ছিল না। এই সুযোগে কিছু খুচরো ব্যবসায়ী দাম চড়িয়ে বেচছিলেন। আজ, শুক্রবার থেকে দাম স্বাভাবিক হতে পারে
বলে তাঁর আশা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Chinsurah Uluberia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy