Advertisement
E-Paper

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরও

স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তিকালীন অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্বামী গৌতমানন্দ। সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ বুধবার নতুন অধ্যক্ষের নাম ঘোষণা করেন।

Swami Gautamanandaji Maharaj

স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১১
Share
Save

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দ। তিনি সহ-অধ্যক্ষ ছিলেন মঠ এবং মিশনের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর নাম অধ্যক্ষ হিসাবে ঘোষণা করেন মঠ এবং মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ।

স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তিকালীন অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্বভার নিয়েছিলেন স্বামী গৌতমানন্দ। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তরফে জানানো হয়েছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত শতাব্দীপ্রাচীন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের পদ কখনও শূন্য থাকে না। গত ৭ এপ্রিল প্রয়াত ষোড়শ অধ্যক্ষের ভান্ডারা অনুষ্ঠানের মাসখানেকের মধ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরবর্তী অধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হল। তার আগে পর্যন্ত অন্তর্বর্তিকালীন অধ্যক্ষ হিসাবে কাজ সামলেছেন গৌতমানন্দজি।

মঠের তরফে জানানো হয়েছে অছি পরিষদের সবচেয়ে প্রবীণ সহ-অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দজি। তাঁকেই এ বার অধ্যক্ষ হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। গত ২৭ মার্চ ষোড়শ অধ্যক্ষ মহারাজের অন্ত্যেষ্টির দিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, স্বামী স্মরণানন্দজির পর নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হতে মোটামুটি এক মাস লাগবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সঙ্ঘ গণতান্ত্রিক। অছি পরিষদ ও পরিচালন সমিতি পরবর্তী অধ্যক্ষ কে হবেন তা ঠিক করবে। সেই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেবেন দীর্ঘ ২০-৩০ বছর ধরে মঠ ও মিশনের কার্যভার সামলাচ্ছেন যে সন্ন্যাসীরা।’’

রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রে খবর, স্বামী গৌতমানন্দ মিশনে যোগ দেন ১৯৫১ সালে। তিনি আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ নেন স্বামী রঙ্গনাথানন্দের কাছে। ১৯৬৬ সালে মঠের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশ্বরানন্দের কাছে সন্ন্যাস দীক্ষা নেন। তার পর দীর্ঘ দিন অরুণাচল প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে গ্রামীণ আদিবাসী জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের কাজ করেছেন। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং নয়া দিল্লিতে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর মতো দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডে সাধারণ এবং এগ্‌জ়িকিউটিভ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯০ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অছি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন স্বামী গৌতমানন্দ। ১৯৯৫ সালে চেন্নাই মঠের প্রধান হিসাবে দায়িত্বভার নেন। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে তাঁর বিপুল জ্ঞানের কথা বিদিত। মঠের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘দেশ ও বিদেশে বহু জায়গায় তাঁর বক্তৃতা ভারতের আধ্যাত্মিকতা ও বেদান্ত দর্শনের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এমন একজন প্রাজ্ঞ ও সংস্কৃতিমনস্ক প্রবীণ সন্ন্যাসী রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ পদে কার্যভার গ্রহণ করায় খুশি ভক্ত ও অনুরাগীরা।’’

Ramkrishna Math Ramkrishna mission belur Howrah president

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}