Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
TMC

TMC: পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূল নেতাকে মার! আরামবাগে বালি খাদান নিয়ে সংঘর্ষ

পরাজিত নির্দল প্রার্থীর অভিযোগ, চাঁদুর এলাকায় তাঁর যে বালিখাদান রয়েছে বুধবার সেখানে তাঁর উপর হামলা চালান তৃণমূলের একাংশ।

সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে মারধরের সময়কার ছবি।

সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে মারধরের সময়কার ছবি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২২ ১৬:৪৮
Share: Save:

পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূলের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল হুগলির আরামবাগে। বালি খাদানের দখল ঘিরে বুধবার সংঘর্ষ বাধে আরামবাগের চাঁদুর এলাকায়। যদিও আরামবাগ তৃণমূলের একটি অংশ অভিযোগ তুলেছেন ওই নেতার বিরুদ্ধেই। তাদের দাবি, ওই নেতাকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরামবাগের বাসিন্দা আজিজুল হোসেনের দাবি, চাঁদুর এলাকায় তাঁর একটি বালিখাদান রয়েছে। অভিযোগ, বুধবার সেখানে তাঁর উপর হামলা চালান তৃণমূলের একাংশ। কবীর মুন্সি নামে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন আজিজুল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গত পুরসভা নির্বাচনে আমি নির্দল প্রার্থী হয়েছিলাম আরামবাগের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। আমাকে এক নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। তার পর থেকে তৃণমূল আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছিল। আমি ২০০৬ সাল থেকে তৃণমূল করি। তৃণমূলের কিছু গুন্ডা, যারা ২০১৯ সালে আগে বিজেপি করত তারা আমার উপর হামলা করেছে। আমাকে মেরে নালায় ফেলে দিয়েছিল।’’ এখন জ‌খম হয়ে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি আজিজুল।

অভিযুক্ত কবীরের বক্তব্য, ‘‘আজিজুল এক জন বালি মাফিয়া। খাদানের অন্য অংশিদারদের হঠিয়ে নিজে পুরোটা দখল করে রেখেছে। গত কাল তার কয়েক জন অনুগামী তৃণমূলে যোগ দিতে আসছিল। সেই সময় তাদের বাধা দেওয়া হয়। তার জেরেই এই সংঘর্ষ ঘটেছে।’’ আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারীর বক্তব্য, ‘‘গতকাল কয়েক জনের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজিজুল তাঁদের বাধা দেয়। তারাই হয়ত মারধর করে থাকতে পারে। দল আজিজুলকে বহিষ্কার করেছে। আমি বিষয়টি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Clash sand mafia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE