E-Paper

পাঁচিল তোলা নিয়ে আপত্তি, কর্মবিরতি আইনজীবীদের

শ্রীরামপুর আদালত এবং মহকুমাশাসকের কার্যালয়-সহ একাধিক প্রশাসনিক দফতর একই চৌহদ্দিতে রয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে ট্রেজ়ারি ভবনের জমি ঘেরার জন্য প্রশাসনের তরফে পাঁচিল দেওয়া শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:৪৯

—প্রতীকী চিত্র।

বার লাইব্রেরির পাশে থাকা একটি সরকারি ভবনের সামনে পাঁচিল তোলার প্রতিবাদে সোমবার কর্মবিরতি পালন করলেন শ্রীরামপুর আদালতের আইনজীবীরা। তাঁদের সঙ্গে ল’ক্লার্কেরা প্রতিবাদ মিছিলও করেন। টাইপিস্টরাও শামিল হন। আপত্তির জেরে ওই কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে বলে শ্রীরামপুর মহকুমাশাসকের কার্যালয় সূত্রে খবর।

শ্রীরামপুর আদালত এবং মহকুমাশাসকের কার্যালয়-সহ একাধিক প্রশাসনিক দফতর একই চৌহদ্দিতে রয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে ট্রেজ়ারি ভবনের জমি ঘেরার জন্য প্রশাসনের তরফে পাঁচিল দেওয়া শুরু হয়। আইনজীবীদের অভিযোগ, বার লাইব্রেরির গা ঘেঁষে পাঁচিল তোলা হলে লাইব্রেরির দোতলায় ওঠানামা সমস্যা হবে। সেখানে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে নীচে নামানোও কঠিন হবে। ঘিরে দেওয়া হলে ওই জায়গায় তাঁরা গাড়ি রাখতেও পারবেন না। কোনও আলোচনা না করেই পাঁচিল তোলা হচ্ছিল বলে তাঁদের অভিযোগ।

আইনজীবীদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে তাঁরা ছুটির দিনে মহকুমাশাসকের বাংলোয় গেলে জানানো হয়, তিনি কার্যালয়ে দেখা করবেন। পরে আইনজীবীরা ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত সময় চান নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য। তবে,ছুটির আবহে সে দিন অনেক আইনজীবী না আসায় আলোচনা হয়নি। ২৮-২৯ অক্টোবরের পরে আলোচনার কথা ঠিক হয়। তার মধ্যেই ফের পাঁচিলের কাজে হাত পড়লে আইনজীবীদের তরফে আপত্তি জানানো হয়।

এ দিন মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। মহকুমাশাসক শম্ভুদীপ সরকার তাঁদের আলোচনার জন্য ডাকেন। কিন্তু আইনজীবীরা যাননি। তাঁর দফতরের একটি সূত্রের দাবি, ২৮ তারিখের পরে আলোচনার বিষয়টি জানা নেই। আইনজীবীদের আপত্তির কারণেই ওই কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।

মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘আমরা আলোচনার জন্য তৈরি ছিলাম। বিষয়টি এসিজেএম-কেও জানানো আছে। আজ ওঁদের (আইনজীবীদের) ডেকেওছিলাম। ওঁরা আসেননি। এখনও আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।’’

বার লাইব্রেরির সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী ঘনশ্যাম আগরওয়ালের বক্তব্য, একশো বছরের বেশি পুরনো এই লাইব্রেরি। তার পাশের ওই জমিতে বহু বছর ধরে আইনজীবীরা মোটরবাইক, স্কুটার, সাইকেল রাখেন। ওই জমি ঘিরে দিলে সেগুলি রাখার জায়গা থাকবে না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এত বছর পরে হঠাৎ নিরাপত্তার অভাব হয়ে গেল? বহু বছর ধরে ওই জমি আমরা ব্যবহার করি। ওখানে পাঁচিল তুলতে আমরা দেব না। আমার কাছে আলোচনার কোনও বার্তা আসেনি।’’ আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরজানান, এই ব্যাপারে আইনজীবীদের তরফে ছ’জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Protest srirampore Strike

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy