হাওড়ার মঙ্গলহাটে আগুন নেভানোর কাজ করেন দমকলকর্মীরা। — ফাইল চিত্র।
মঙ্গলাহাটের পোড়া ধ্বংসস্তূপ সরাতে অবশেষে উদ্যোগী হল হাওড়া জেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের তৈরি করা সাব কমিটির সদস্যরা পোড়া হাট পরিদর্শন করলেন। এর ফলে অনেকটা স্বস্তির শ্বাস ফেললেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। সব ঠিক থাকলে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে পোড়া হাটের আর্বজনা সাফাইয়ের কাজ শুরু হবে। মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মলয় দত্ত বলেন, ‘‘ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শনের পরে ঠিক হয়েছে, কাল থেকেই পুরসভার নেতৃত্বে সাফাইয়ের কাজ শুরু হবে। এতে ব্যবসায়ীরা খুশি। তাঁরা চাইছেন, দ্রুত জায়গা ফাঁকা হয়ে যাক। তা হলে তাঁরা ব্যবসা শুরু করতে পারেন।’’
মঙ্গলবারই জেলা প্রশাসন পোড়া হাট থেকে আবর্জনা সাফাই কী ভাবে হবে, তা ঠিক করার জন্য একটি সাব কমিটি তৈরি করে। ওই সাব কমিটিতে রয়েছেন হাওড়া পুরসভার সাফাই দফতরের এক জন পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার, দমকলের এক জন পদস্থ কর্তা, হাওড়া সিটি পুলিশের এক জন এসিপি পদর্যাদার অফিসার এবং জেলাশাসকের দফতরের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের এক পদস্থ আধিকারিক। ঘটনার দিন ছয়েক পরে এ দিন দুপুরে পুলিশ পাহারায় কমিটির সদস্যরা পোড়া মঙ্গলাহাটে ঢোকেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কয়েক দিন ধরে রাস্তায় অপেক্ষায় থাকা ব্যবসায়ী-সহ আশপাশের লোকজনও। হাট পরিদর্শনের পরে কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘‘হাটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে, তাঁদের প্রত্যেকের দোকানের আলাদা জায়গা রয়েছে। তা ইট দিয়ে চিহ্নিত করা আছে। ব্যবসায়ীদের অনুরোধ,জেসিবি মেশিন চালানোর সময়ে সেই ইটের দাগ যেন ভেঙে না যায়। কিন্তু এই ভাবে জেসিবি চালানো কঠিন। তাই ঠিক কবে সমস্ত পোড়া জায়গা পরিষ্কার করা যাবে, তা বলা যাচ্ছে না।’’
হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবারই পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী আশ্বাস দিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কমিটি নির্দেশ দিলেই কাজ শুরু করা হবে। বুধবার তিনি জানান, সন্ধ্যায় কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy