লক্ষ্মী প্রতিমার শোভাযাত্রা। সোমবার রাতে খালনায়। ছবি: সুব্রত জানা
হুগলির চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা বিখ্যাত। কয়েক বছর ধরে কলকাতায় দুর্গাপুজোয় কার্নিভালের আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর রাজ্যের নানা প্রান্তেও দশভুজার কার্নিভাল হয়েছে। এ বার কার্নিভালের তালিকায় নাম লেখাল হাওড়ার জয়পুরের খালনার লক্ষ্মীপুজোও। ধনদেবীকে নিয়ে সোমবার এই শোভাযাত্রায় জাঁকজমকের অভাব রইল না।
কার্নিভালের ব্যবস্থাপনায় ছিল খালনা গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রধান উপদেষ্টা আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। এ তল্লাটের লক্ষ্মীপুজোকে জেলার পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরতেই কার্নিভালের ভাবনা বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এই আয়োজন এ বারেই প্রথম।
খালনার লক্ষ্মীপুজোর প্রসিদ্ধি রয়েছে। এখানে লক্ষ্মীপুজোর জাঁক হার মানায় দুর্গাপুজোকে। হরেক রকম থিম হয় বিভিন্ন বারোয়ারিতে। গত শনিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাতে লক্ষাধিক দর্শনার্থী পুজো দেখতে ভিড় করেন। দর্শনার্থীরা আসেন রবিবারেও।
সোমবার কার্নিভালে যোগ দিয়েছিল ১৮টি পুজো কমিটি। ছিল আদিবাসী নৃত্য, ঢাক-সহ নানা আয়োজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাগনান-জয়পুর রোড ধরে প্রায় এক কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে এই শোভাযাত্রা। তার পরে কমিটিগুলি যে যার মতো করে প্রতিমা ভাসান দেয়।
বিধায়ক বলেন, ‘‘খালনার লক্ষ্মীপুজোকে আমরা জেলার পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে দিতে চাই। সেই কারণেই পুজোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে কার্নিভালের আয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy