E-Paper

ছুটির দিন হওয়ায় আজ  ভোগান্তি কম হবে, দাবি 

হুগলি জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সংগঠনের দাবি, বর্তমানে এই জেলায় মাত্র শ’দেড়েক বাস চলে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ সমাবেশে যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৪ ০৫:৩৭
বাসের সংখ্যা কম থাকায় জীবনে ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে যাতায়াত যাত্রীদের।

বাসের সংখ্যা কম থাকায় জীবনে ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে যাতায়াত যাত্রীদের। আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে।

আজ ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ। হুগলি এবং গ্রামীণ হাওড়া থেকে যথারীতি অধিকাংশ বাস ওই কর্মসূচির জন্য ভাড়া করেছে তৃণমূল। ফলে, সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগের আশঙ্কা। যদিও আজ, রবিবার অফিস-কাছারি বন্ধ থাকায় তেমন সমস্যা হবে না বলে তৃণমূল শিবিরের দাবি।

শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ আরামবাগে দূরপাল্লার বাস কার্যত উধাও হয়ে যায়। বিকেল পর্যন্ত এই মহকুমা সচল রাখল রুটের প্রায় ৭০ শতাংশ বাস। এ দিন বিভিন্ন কলেজে ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা রেখেছিল বিভিন্ন বাসমালিক সংগঠন। সন্ধ্যা থেকে অবশ্য রুটের শেষ বাস বাদে সবই প্রায় তুলে নেওয়া হয়। বাস কম থাকায় যাত্রী-দুর্ভোগ হয়েছে। দশ মিনিটের পরিবর্তে এক-দেড় ঘণ্টা অন্তর বাস মিলেছে। টোটো বা গাড়িতে খরচ হয়েছে বেশি।

হুগলি দূরপাল্লা বাসমালিক সংগঠনের সম্পাদক গৌতম ধোলে বলেন, ‘‘রুটের বাসে কাটা সার্ভিসের মাধ্যমে ভোগান্তি কমানোর চেষ্টা হয়েছে।’’ জেলা পরিবহণ দফতরের দাবি, পরিষেবা নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। শ্রীরামপুর বাস সংগঠনের কর্মকর্তা রঞ্জন প্রমাণিক বলেন, ‘‘এখান থেকে মাত্র পাঁচটি রুটের বাস ভাড়া করা হয়েছে। মানুষের তেমন সমস্যা হবে না।’’

হুগলি জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সংগঠনের দাবি, বর্তমানে এই জেলায় মাত্র শ’দেড়েক বাস চলে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ সমাবেশে যাবে। সংগঠনের সভাপতি দেবব্রত ভৌমিক বলেন, ‘‘এমনিতেই ২১ জুলাই মানুষ কম বের হন। তার উপরে রবিবার। কিছু বাস চলবে। আর, যে হারে
অটো-টোটো রয়েছে, সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’

তৃণমূলের হাওড়া গ্রামীণ জেলা নেতৃত্বের দাবি, এখান থেকে প্রায় এক লক্ষ কর্মী-সমর্থক সমাবেশে যাবেন। বাগনান, উলুবেড়িয়া, সাঁকরাইলের কর্মীরা মূলত ট্রেনে যাবেন। উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর, সাঁকরাইলের অনেকে হুগলি নদী পেরিয়ে যাবেন। উদয়নারায়ণপুর, আমতায় ট্রেন বা জলপথের সুবিধা না থাকায় বাস, ছোট গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। এ ভাবে যাবেন শ্যামপুরের কিছু কর্মীও।

তৃণমূলের আমতা কেন্দ্রের সভাপতি সেলিমুল আলম বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত বাস ও ছোট গাড়ি নেওয়া হয়েছে।’’ উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত দাস জানান, এখান থেকে গোটা পঞ্চাশ বাস নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘রবিবার যাত্রীদের চাপ কম থাকে। তা ছাড়া ওই দুই এলাকায় পর্যাপ্ত ট্রেকার ও অটো চলে। সাধারণ যাত্রীদের কথা ভেবে ট্রেকার ও অটো চলাচল যাতে করে তা দেখা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Arambagh TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy