স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান পুরসভার সামনে নিজস্ব চিত্র।
বৈদ্যবাটি পুরসভায় টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুললেন শাসক দলেরই আর এক কো-অর্ডিনেটর। এ ছাড়া বিরোধীরাও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছে। এই ঘটনায় স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান পুরসভার সামনে।
বৈদ্যবাটি পুরসভায় শনিবার সকাল থেকেই টিকা নেওয়ার লাইন পড়েছিল। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর প্রবীর পাল অভিযোগ করেন, তাঁদের না জানিয়েই ২০ জনকে প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শনিবার প্রথম টিকা দেওয়ার কথা ছিল না। তাঁর ওয়ার্ডের তিন জন প্রথম টিকা নেন বলে জানিয়েছেন প্রবীর। তাঁর অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের দ্বায়িত্বে রয়েছেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর নমিতা মাহাতো। তিনি বেআইনি ভাবে নিজের পছন্দের লোকদের টিকা দিচ্ছেন। এই অনৈতিক কাজ অনেক দিন ধরে চলছে।
পুরসভার বিরোধী নেতা তথা ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর মানোয়ার হোসেনের অভিযোগ, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ চলছে। কোনও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর জানতে পারছেন না কারা টিকা পাচ্ছেন। যেদিন দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার কথা, সে দিন নিজেদের লোকদের ডেকে প্রথম টিকা দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দ্বায়িত্বে যিনি আছেন, তাঁর নেতৃত্বে এই অস্বচ্ছতা এবং স্বজনপোষণ চলছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে নমিতা বলেন, ‘‘দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার পর কিছু টিকা থেকে যায়। সেগুলি যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, তাই কয়েক জনকে প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। এখানে অস্বচ্ছতা বা স্বজনপোষণের কোনও বিষয় নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy