Advertisement
E-Paper

১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড

স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হল স্বামীর। শুক্রবার হুগলির তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মানস বসু পান্ডুয়ার বাসিন্দা সুজয় দেবনাথকে ওই সাজা শোনান। মাত্র ১ বছর ২ মাসেই মাম‌লার নিষ্পত্তি হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৬ ০১:৩৫

স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হল স্বামীর। শুক্রবার হুগলির তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মানস বসু পান্ডুয়ার বাসিন্দা সুজয় দেবনাথকে ওই সাজা শোনান। মাত্র ১ বছর ২ মাসেই মাম‌লার নিষ্পত্তি হল।

পুলিশ সূত্রের খবর, সুজয়ের বাড়ি পান্ডুয়ার সরাই কলোনিতে। বছর তিনেক আগে তাঁর সঙ্গে বর্ধমানের কালনার নন্দগ্রামের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা দেবনাথের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি সন্তানও আছে। ২০১৫ সালের ১০ মে শ্বশুরবাড়িতে প্রিয়াঙ্কার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার মা কল্পনা দেবনাথ পান্ডুয়া থানায় সুজয়, তার মা-বাবা এবং বৌদির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। মৃতার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের সময় পাত্রপক্ষের কথা মতো পণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু করে। পরে তাদের দাবি মতো পণ দিতে না পারায় অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। এক আত্মীয়ার সঙ্গে সুজয়ের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেও প্রিয়াঙ্কার বাপেরবাড়ির দাবি। এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই প্রিয়াঙ্কা গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। মামলার তদন্তকারী অফিসার পিনাকী দে ঘটনার ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার সরকারি আইনজীবী সুব্রত গুছাইত জানান, মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেন। বুধবার সুজয়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অপর তিন অভিযুক্তকে ‘সন্দেহের অবকাশে’ (বেনিফিট অব ডাউট) বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়। সুব্রতবাবু জানান, ৩০৪-বি ধারায় পণজনিত কারণে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের দায়ে সুজয়কে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতনের দায়ে ৩ বছর সশ্রম কারাবাস হয়। পাশাপাশি ২০০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাস কারাদণ্ড হয়। সব সাজা একসঙ্গে চলবে।

অবরোধ। বাতিস্তম্ভের তারে জড়িয়ে মৃত্যু হল একটি গরুর। ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের কর্মীরা দেরি করে আসার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করে লোকজন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে শ্রীরামপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রভাসনগর বাজারের কাছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই এলাকায় একটি বাতিস্তম্ভ তার দিয়ে বাঁধা হয়েছিল। কোনও ভাবে সেই তারে বিদ্যুৎ চলে আসে। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ ওই তারেই গরুটি জড়িয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দফতরে খবর দেন। কিন্তু ওই দফতরের তরফে বিষয়টিতে আমল দেওয়া হয়নি। তখনই রিষড়া থেকে দিল্লি রোডের সংযোগকারী রাস্তা অবরোধ করা হয়। সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৪টে নাগাদ বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন আসেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গরুটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

Imprisonment Suicide
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy