মহিষরেখার কুণ্ডুবাড়ির প্রতিমা।— সুব্রত জানা
ব্যবসায় শ্রীবৃদ্ধি হওয়ায় স্বপ্নাদেশ পেয়ে জগদ্ধাত্রীর পুজো শুরু হয়েছিল বাগনানের বেড়াবেড়িয়ার চক্রবর্তী বাড়িতে। উলুবেড়িয়ার মহিষরেখায় কুণ্ডু পরিবারের পুজোও শুরু হয়েছিল স্বপ্নাদেশ পেয়েই। পরিবারে আর্থিক উন্নতির জন্য স্বপ্নে পুজোর আদেশ পেয়েছিলেন বাগনানের মহাদেবপুরের ঘোষ বাড়ির পূর্বপুরুষ। স্বপ্নাদেশের এমন কাহিনীর পথ বেয়েই কোথাও তিনশো, কোথাও ১২৫ বছর, আবার কোথাও ১০০ বছর ধরে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পুজো হয়ে চলেছে জগদ্ধাত্রীর।
জেলার প্রাচীন পারিবারিক জগদ্ধাত্রী পুজোগুলির অন্যতম হাওড়ার বাগনানের বেড়াবেড়িয়ার চক্রবতীবাড়ির পুজো। তিনশো বছরের বেশি পুরনো এই পরিবারের পুজো। পুজোর প্রচলন করেন গোপাল চক্রবতী। পরিবারের অন্যতম কর্তা বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই পুজোর সূচনা। পঞ্জিকা অনুযায়ী নবমীর দিনই সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো হয়। সাবেক পদ্ধতিতেই দেবীর আরাধনা হয়। দেবীর ভোগে ৩৫ রকমের পদ রান্না হয়। ভোগের বিশেষত্ব হল সপ্তমীতে ১৮ রকমের ভাজা সহযোগে খিচুড়ি রান্না হয়। দূরদুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই পুজো দেখতে আসেন বলে পরিবারের কতার্রা জানালেন।
মহিষরেখার কুণ্ডু পরিবারের পুজো শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। পরিবারের তরফে সমীর কুণ্ডু জানান, তাঁদের পূর্বপুরুষ ললিতমোহন কুণ্ডু ১২৫ বছর আগে পুজোর প্রচলন করেন। নবমীতে কুমারী পুজো হয়। পুজো উপলক্ষে কাজের সূত্রে অন্যত্র থাকা পরিবারের সদস্যরা এসে হাজির হন মহিষরেখায়।
বাগনানের মহাদেবপুরের ঘোষ পরিবারে ১৯০৭ সালে জগদ্ধাত্রীপুজো শুরু করেছিলেন পরিবারের কর্তা হারাধন ঘোষ। পরিবারের বর্তমান সদস্যদের মধ্যে প্রবীণ সন্তোষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘‘প্রয়াত হারাধনবাবু এক জমিদার পরিবারের পদস্থ কর্মী ছিলেন। পারিবারিক উন্নতির ফলে তিনি স্বপ্নাদেশ পান দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো করার। পুজোর সেই শুরু।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy