মহামায়া: আজ মহানবমী। চন্দননগরের প্রিয়নগরের প্রতিমা। ছবি: তাপস ঘোষ
জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে সেজে উঠেছে গঙ্গাপাড়ের জনপদ রিষড়া। আগামী কয়েক দিন উৎসবের ভিড়ে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মতোই এখানেও সিসিটিভি-র নজরদারির উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।
রিষড়া শহরকে আড়াআড়ি ভাগে ভাগ করেছে রেললাইন। পুলিশের হিসেব অনুযায়ী, রেললাইনের পূর্ব এবং পশ্চিম দিক মিলিয়ে পুজোর সংখ্যা ১১০টি। গোটা এলাকা জুড়ে ৭০টি সিসি ক্যামেরায় দিনভর নজরদারি চালানো হবে। নেতাজি সুভাষ রোড, পুরসভা, বাঙ্গুর পার্ক, বাঁশতলা, ব্রহ্মানন্দ মাঠ, বাগপাড়া-সহ ১২টি জায়গায় পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র থাকছে। সেখান থেকে ছোটদের পরিচয়পত্র বিলি করা হবে, যাতে তারা হারিয়ে গেলে পুলিশ বা পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।
কয়েকশো পুলিশকর্মী পুজো মণ্ডপ এবং রাস্তাঘাটে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা পুলিশকর্মীও থাকবেন। ছিনতাই, ইভটিজিং বা অন্য অপরাধ ঘটলে তা দ্রুত মোকাবিলার জন্য কিছু সংখ্যক পুরুষ এবং মহিলা পুলিশকর্মী সাদা পোশাকে ভিড়ে মিশে থাকবেন। বেচাল দেখলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ এবং পুরসভার তরফে মেডিক্যাল টিম, অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। রেললাইনের পূর্ব পাড়ে দমকল কেন্দ্র রয়েছে। আপৎকালীন অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পশ্চিমপাড়েও দমকলের ইঞ্জিন রাখা হবে।
ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য জিআরপি এবং আরপিএফের সঙ্গে সমন্বয় রাখা হচ্ছে বলে কমিশনারেট সূত্রের দাবি। প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া ৩ নম্বর রেলগেটে লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। সেই কারণে লেভেল ক্রসিংয়ের মাঝে রেল পুলিশের তরফে সহায়তা কেন্দ্র থাকছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এখান থেকে মানুষকে সচেতন করার কাজ চলবে। প্ল্যাটফর্মে জিআরপি-র তরফে মেডিক্যাল টিম থাকবে।
পুলিশের পাশাপাশি পুরসভার তরফেও বিভিন্ন পরিষেবার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পুরপ্রধান তথা রিষড়া কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির সভাপতি বিজয়সাগর মিশ্র জানান, থানার পাশাপাশি পুরভবনেও সিসিটিভি-র কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটে পর্যাপ্ত আলো, পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে। রাস্তাঘাট সাফসুতরো রাখা হবে। পুরভবনের সামনে মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হবে।
উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ হয়ে বহু মানুষ ভুটভুটিতে চেপে গঙ্গা পেরিয়ে রিষড়ায় ঠাকুর দেখতে আসেন। পুজোর কয়েক দিন এখানে ভেসেলেও পারাপার করা হবে। আগামী ২ অক্টোবর ভাসানের দিন পর্যন্ত রাত পৌনে ১১টার পরিবর্তে রাত ১২টা পর্যন্ত ফেরি পরিষেবা মিলবে। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘জলপথে যাত্রীরা যাতে লাইফ জ্যাকেট পরেন, সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হবে। এ ব্যাপারে যাত্রীদেরও সহযোগিতা করতে আমরা অনুরোধ করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy