তরুণকে অপহরণের অভিযোগে পড়শি এক যুবককে বারাণসী থেকে গ্রেফতার করল হুগলির রিষড়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম রাজেশ সোনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অপহৃত’ তরুণ হর্ষ গুপ্ত অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাড়ি রিষড়ার এনএস রোডে। ওই বাড়িতেই রাজেশ সোনি বেশ কয়েক বছর ভাড়া ছিলেন। তিনি সোনারূপোর কাজ করেন। বছর দেড়েক আগে তিনি বাসা বদল করে ওই এলাকাতেই অন্য একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তবে, হর্ষের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল।
হর্ষের পরিবার সূত্রে খবর, ২৬ জুলাই সকালে সে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোয়। আর ফেরেনি। স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে স্কুলে যায়নি। সব জায়গাতেই খোঁজাখুঁজি করেও হর্ষের হদিস মেলেনি। ওই দিন থেকেই রাজেশও বেপাত্তা হয়ে যান। পরের দিন তাঁর নামে রিষড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হর্ষের বাড়ির লোকেরা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রাজেশের মোবাইল টাওয়ার অনুসন্ধান করে জানা যায়, তিনি বারাণসীতে আছেন। এর পরেই পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। সেখান থেকেই বুধবার হর্ষকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় রাজেশকেও। বৃহস্পতিবার দু’জনকেই শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। হর্ষকে তার মায়ের হাতে তুলে দেন বিচারক। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিও দেয় হর্ষ। রাজেশকে ১৪ দিন পুলিশ হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। হর্ষের বাবা বিজয় গুপ্ত অভিযোগ করেন, ‘‘রাজেশ তন্ত্রসাধনা করে। সেই কারণেই ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল।’’ রাজেশের দাবি, ‘‘এখানে ভাল লাগছিল না বলে আমি বারাণসী চলে যাই। ওখানে একটা মন্দিরে ছিলাম। হর্ষ নিজের ইচ্ছেতেই আমার সঙ্গে গিয়েছিল। অপহরণের প্রশ্নই নেই।’’ পুলিশ জানায়, ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। একটি গাড়ির ধাক্কায় মত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। বুধবার রাতে গোঘাটের পাতুলসারায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম সুজিত ঘোষ (৫০)। বাড়ি ওই গ্রামেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার পাশেই তাঁর বাড়ি। ওই দিন রাতে তিনি রাস্তা পার হয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy