এই ডিভাইডার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। —তাপস ঘোষ।
দিল্লি রোডের উপর সুগন্ধা লাগোয়া এলাকায় প্রায়ই ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় মৃত্যুও হচ্ছে। এ সবের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা দিল্লি রোডের উপর নতুনভাবে তৈরি ‘ডিভাইডার’কে দায়ী করেছেন।
রাজ্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ হুগলির ডানকুনি থেকে মগরা পর্যন্ত দিল্লি রোডকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে উদ্যেগী হয় বছর দুই আগে। এক সময় সঙ্কীর্ণ এই জাতীয় সড়কের দ্রুত চেহারা বদলাতে শুরু করে। রাস্তার ধারে থাকা দোকান এবং জবরদখলকারীদের হটিয়ে দেওয়া হয়। এই রাস্তাকে চার লেন করার কাজ চলছে পর্যায়ক্রমে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাস্তা চালু রেখেই সম্প্রসারণের ওই কাজ করতে হবে। সেই মতো আধুনিক প্রযুক্তিতে রাস্তা তৈরির কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তাও চালু রাখা হয়েছে।
কিন্তু ওই চালু রাস্তাতেই বারে বারে দুর্ঘটনা হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। সম্প্রতি পর পর দু’টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই দুটি দুর্ঘটনায় এক মোটরবাইক আরোহী, তিন পথচারী-সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিদিনই ছোটছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই দ্রুত ওই ডিভাইডারগুলি ঠিকমতো তৈরির দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। তাঁদের যুক্তি, রাস্তা জুড়ে গোল করে বাঁধিয়ে এমনভাবে ডিভাইডার করা হয়েছে যা পথ নিরাপত্তার পরিপন্থী। দ্রুত গতির গাড়িগুলির ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ডিভাইডারগুলি দূর থেকে দেখা যায় না। ফলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। কলকাতা বা বর্ধমানের দিক থেকে আসা গাড়িগুলির গতি বেশি থাকায় তা প্রায়শই বিপদজ্জনক হয়ে যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে কল্যাণী থেকে হাওড়া যাওয়ার পথে একটি গ্যাস ট্যাঙ্কার ওই রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই সময় স্থানীয় একটি কারখানার তিন কর্মী বাড়ি ফিরছিলেন। ট্যাঙ্কাটি ডিভাইডারের কাছে এসে নিয়ন্ত্রণ হারায়। সোজা ডিভাইডারের উপর উঠে গিয়ে পথচারীদের ধাক্কা মারে। এক মহিলার মৃত্যুও হয়। অন্য দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের কাউকেই বাঁচানো যায়নি। এ বিষয়ে রাজ্য সড়ক কর্তৃপক্ষের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। বড় কাজ। কোথাও কোনও অসঙ্গতি বা কাজ নিয়ে সমস্যা থাকলে তা নিশ্চয় বিবেচনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy