মাথায় ও ঘাড়ে কাটারির কোপ মেরে এক হাতুড়েকে খুনের দায়ে তপন সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দিলেন বিচারক। শুক্রবার আরামবাগ আদালতের অতিরিক্ত দ্বিতীয় জেলা দায়রা বিচারক সুরথেশ্বর মণ্ডল এই নির্দেশ দেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী নবকুমার মণ্ডল বলেন, “মামলায় মোট ১৯ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য ও নথি পেশের ভিত্তিতে অপরাধীর যাবজ্জীবনের নির্দেশ হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের জেলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মেলাতলা এলাকার বাসিন্দা তপন সিংহের অসুস্থ ছেলেকে দেখে ফিরছিলেন খানাকুলের ঘোষপুরের হাতুড়ে বছর ষাটের ধরণীধর চক্রবর্তী। সেই সময় মাঠে বসে কাটারি নিয়ে বাঁশপাতা কাটছিলেন তপনবাবু। কেন ছেলের অসুখ সারতে দেরি হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে তিনি ধরণীধরবাবুর পথ আটকান। এরপরই শুরু হয় দু’জনের মধ্যে বাদানুবাদ। সেই সময় তপনবাবু কাটারি দিয়ে কোপ মারেন ওই চিকিৎসকের গলায় ও ঘাড়ে।
গুরুতর জখম ওই চিকিৎসককে প্রথমে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মারা যান ওই চিকিৎসক। এরপরই তপনবাবুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ জানান ধরণীধরবাবুর দাদা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy