Advertisement
E-Paper

চন্দননগরে মহিলা বিচারক হেনস্থায় অভিযুক্তরা অধরা

রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ চন্দননগরের পাদ্রিপাড়ার কাছে জিটি রোডে গাড়ি আটকে চন্দ্রাণী চক্রবর্তী নামে ওই বিচারককে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে মানকুণ্ডু নতুনপাড়া পুজো কমিটির লোকজনের বিরুদ্ধে। ওই পুজো কমিটি তখন প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাচ্ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩৮
পুলিশের সঙ্গে বচসা পুজো কমিটির সদস্যদের। —ফাইল চিত্র।

পুলিশের সঙ্গে বচসা পুজো কমিটির সদস্যদের। —ফাইল চিত্র।

পেরিয়ে গেল ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়। কিন্তু চন্দননগরে মহিলা বিচারককে হেনস্থা এবং তাঁর গাড়ির চালককে মারধরের ঘটনায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকেই ধরতে পারল না পুলিশ। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার অবশ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ চন্দননগরের পাদ্রিপাড়ার কাছে জিটি রোডে গাড়ি আটকে চন্দ্রাণী চক্রবর্তী নামে ওই বিচারককে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে মানকুণ্ডু নতুনপাড়া পুজো কমিটির লোকজনের বিরুদ্ধে। ওই পুজো কমিটি তখন প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাচ্ছিল। চন্দ্রাণীদেবী চন্দননগর আদালতের বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (৩ নম্বর কোর্ট)। রবিবার তিনি এসিজেএমের দায়িত্বে ছিলেন। পাদ্রিপাড়ার কাছে একটি আবাসনে তিনি থাকেন। ওই দুপুরে তিনি নিজের ফ্ল্যাট থেকে গাড়ি নিয়ে আদালতের উদ্দেশে বের হন। গাড়িতে চন্দ্রাণীদেবীর স্বামী এবং দু’জন দেহরক্ষীও ছিলেন। অভিযোগে বিচারক জানিয়েছেন, কিছুটা এগোতেই নতুনপাড়ার শোভাযাত্রায় আটকে পড়ে তাঁর গাড়ি। তাঁর দেহরক্ষীরা গাড়ি থেকে নেমে ভিড় সরানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে একদল মত্ত যুবক তাঁর গাড়ি আটকে হুজ্জুত জুড়ে দেয়। তখন চালক জানান, গাড়িতে বিচারক রয়েছেন। অভিযোগ, এ কথা শুনেও পাল্টা হুমকি এবং বিচারককে গালাগাল দিতে থাকে ওই যুবকেরা। এরই মধ্যে কয়েকজন এসে গাড়ির চালক বিদ্যুৎ চন্দ্রকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে। চন্দ্রাণীদেবীর অভিযোগ, তাঁকে গাড়ি থেকে নামানোরও চেষ্টা করে কয়েকজন মদ্যপ যুবক।

ওই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে বিচারকের গাড়িকে আদালতে পৌঁছে দেয়। বিচারকের গাড়ির চালক বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘রাস্তার একধার ফাঁকা ছিল। সে জন্য শোভাযাত্রার পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। সেই অপরাধে হঠাৎই হলুদ পাঞ্জাবি পরা একজনের নেতৃত্বে কয়েকজন উন্মত্ত যুবক জামার কলার ধরে আমাকে মারধর শুরু করে। গাড়ি যেতে দেওয়া হবে না বলে ওরা চিৎকার করছিল।’’

অভিযোগ নিয়ে নতুনপাড়া পুজো কমিটির সম্পাদক অমিতাভব্রত দে বলেন, ‘‘শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা-সহ বিভিন্ন দিকে আমাদের পুজো কমিটির সুনাম রয়েছে। শেষ দিনে কিছু বাইরের ছেলের জন্য একটা অসন্মানজনক ঘটনা ঘটে গেল। এ জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। তবে আমাদের কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয়, তা হলে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিক।’’

Harassment Lady Magistrate Arrest Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy