তিন দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর বাড়িতে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপি দাস গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কোন্নগরের বাসিন্দা, মহম্মদবাজারের বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষ। শুক্রবার বিধানসভায় মিডিয়া-সেন্টারে সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অভিযোগ, প্রথমে কোন্নগরে বাড়ি কেনার সময়ে বাপি ও তার দলবল ৫০ হাজার টাকা তোলা চেয়েছিল তারাশঙ্করবাবুর কাছে। তিনি তোলা দেননি। পরে প্রোমোটারির স্বার্থে ওই বাড়ি বিক্রির জন্য তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয় বলেও অভিযোগ। কিন্তু ওই সরকারি কর্তা সেই চাপের কাছেও নতি স্বীকার করেননি। এই ‘অপরাধে’ই মঙ্গলবার ওই পরিবারের উপরে বাপি ও তার দলবল হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
এ দিন বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বিডিও-র পিছনে কোনও ভিআইপি নেই বলে, তাঁর স্ত্রী-কন্যার উপরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি!’’ সিন্ডিকেট এবং তোলাবাজির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কথা ও কাজে মিল নেই, এই অভিযোগ তুলে মান্নান বলেন, ‘‘প্রতিদিন সাধারণ মানুষ এদের শিকার। কোথায় কত সিন্ডিকেট আছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। তাতে যদি বিরোধী দলের কেউ থাকে, তার নামও প্রকাশ করা হোক। যাতে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে।’’
তারাশঙ্করবাবু অবশ্য তাঁর বাড়ি বিক্রির হুমকি এবং স্ত্রী-কন্যার উপর অত্যাচার নিয়ে শেষ দেখে ছাড়ার কথা বলেছেন। শুক্রবার রাতে তিনি বীরভূমের জেলাশাসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে কোন্নগরে বাড়িতে আসেন। পুরো ঘটনাটি বীরভূমের জেলাশাসকের মাধ্যমে তিনি হুগলির জেলাশাসককে জানিয়েছেন। ঘটনার বিচার না হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান।
তারাশঙ্করবাবু বলেন, ‘‘যারা ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের সঙ্গে পুলিশের যোগ রয়েছে। যে কারণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। দুষ্কৃতী কোন দলের, সেটা বিষয় নয়। মেয়ের শরীরে এখনও আঘাতের দাগ রয়েছে। ঘটনার এফআইআর করার সময়ে থানায় মেডিক্যাল রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy