চন্দননগরে আলো ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে জিজ্ঞসাবাদের জন্য কয়েকজন এলাকাবাসীকে আটক করা হয়। অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার রাতে চন্দননগরের মহাডাঙা কলোনির একটি মন্দিরে কালী পুজো চলছিল। রাত দেড়টা নাগাদ পুজো শেষে আলো ব্যবসায়ী নারায়ণ সরকার মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছেই পড়শি কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে বচসা চলছিল। নারায়ণবাবু সেই বচসা থামাতে যান। অভিযোগ, এমন সময় তাঁদের মধ্যে একজন চপার নিয়ে নারায়ণবাবুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁকে প্রথমে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয় হামলাকারীরা। ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মা সোমাদেবী হামলাকারীদের কাছে কাকুতি-মিনতি করেন। কিন্তু মায়ের কথায় কান না দিয়ে তারা নারায়ণবাবুর গলায় একের পর এক কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরেই নিহতের মা সোমাদেবী বাপ্পা শীল নামে এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, বাপ্পার বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপ এবং খুনের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর চন্দননগরের আশ্রমপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে পুলিশ বাপ্পাকে গ্রেফতার করেছিল। সম্প্রতি সে জেল থেকে ছাড়া পায়। কিন্তু বাপ্পা এখনও ধরা না পড়ায় এলাকায় আতঙ্ক রয়েছে। কেউ মুখ খুলতে চাইছে না।
কিন্তু ওই আলো ব্যবসায়ীকে খুন করা হল কেন? পরিবারের দাবি, কয়েক দিন আগে নারায়ণবাবুর কাছ থেকে তোলা চেয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তা দিতে অস্বীকার করায় এই খুন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তের সঙ্গে নিহত আলো ব্যবসায়ীর দাদার পুরনো শত্রুতা ছিল। ঘটনার দিন রাতে মূল অভিযুক্ত বাপ্পা-সহ কয়েকজন যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। কোনও কারণে তাদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। সেই বচসায় নারায়ণবাবু জড়িয়ে পড়ায় দাদার রাগটা তাঁর উপর গিয়ে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy