—প্রতীকী চিত্র।
কালীপুজোয় শব্দবাজি এবং ডিজে রোধে সচেতনতামূলক প্রচারে জোর দিল হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ। এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও।
দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময়ে বাগনান, উলুবেড়িয়া, সাঁকরাইল, আমতা প্রভৃতি জায়গায় তারস্বরে ডিজে বাজানো হয়েছিল। এই সব এলাকা থেকে বহু মানুষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কালীপুজোর সময়েও যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য সচেষ্ট হয়েছে পুলিশ। সেই কারণে যে সব ক্লাব পুজোর জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি নিতে আসছে, তাদের বোঝাচ্ছে এবং সতর্কও করে দিচ্ছেন পুলিশকর্তারা।
হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘কালীপুজোর সময়ে যাতে শব্দবাজির উৎপাত না-হয় এবং ডিজে না-বাজে, সে জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশি অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। ক্লাবগুলির কাছেও আবেদন জানানো হচ্ছে। আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো হবেই, কিন্তু মানুষকে সচেতন না করলে সামগ্রিক ভাবে শব্দবাজি এবং ডিজে বন্ধ করা যাবে না।’’
ইতিমধ্যেই গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ শব্দবাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশি শব্দবাজি উদ্ধার করা হয়েছে শ্যামপুরে। এখানে দেওনার একটি মুদিখানা দোকানে হানা দিয়ে কয়েকদিন আগে ২৭ হাজার শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও বাউড়িয়া, বাগনান, সাঁকরাইল থানা এলাকা থেকেও প্রচুর শব্দবাজি মিলেছে।
শব্দবাজির বিপদ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তাও দিচ্ছে পুলিশ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে থানায় থানায় করা হচ্ছে সচেতনতা শিবির। শনিবার বাগনান থানায় এ রকমই এক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। কাল, সোমবার উলুবেড়িয়ার মহিষরেখা ডাকঘরের সামনে ‘মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতি’ও একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করেছে। শিবিরে হাজির থাকার কথা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের। একই সঙ্গে ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্লোগান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। নির্বাচিত স্লোগানগুলি ছোট ছেলেমেয়েরাই সাঁটিয়ে দেবে পাড়ায় পাড়ায়। পরের দিন, অর্থাৎ, ১৭ অক্টোবর শ্যামপুর থানা সমন্বয় কমিটি এবং থানার যৌথ উদ্যোগে শব্দবাজির বিরুদ্ধে পদযাত্রা হওয়ার কথা। সচেতনতামূলক পোস্টার এবং ফেস্টুন নিয়ে শহর পরিক্রমা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি তাতে যোগ দেবে।
পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির আশা, এ ভাবে লাগাতার প্রচারে ডিজে এবং শব্দবাজির দাপট অনেকটাই রোধ করা যাবে। দীপাবলি হয়ে উঠবে আলোর উৎসব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy