Advertisement
E-Paper

বয়স্কদের সাহায্যে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব

দিন কয়েক আগে ‘প্রবীণ নাগরিক অধিকার রক্ষা মঞ্চ’ নামে ওই সংগঠনের তরফে হুগলির জেলাশাসক, গ্রামীণ পুলিশ সুপার, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০০:২৫
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নানা কারণে আজকাল বহু বৃদ্ধবৃদ্ধাকে একা বড়িতে থাকতে হয়। একা থাকায় নানা সমস্যায় পড়েন। এমন মানুষদের কথা ভেবে পুলিশ-প্রশাসনকে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাল প্রবীণদের অধিকার নিয়ে কাজ করা চন্দননগরের সংগঠন।

দিন কয়েক আগে ‘প্রবীণ নাগরিক অধিকার রক্ষা মঞ্চ’ নামে ওই সংগঠনের তরফে হুগলির জেলাশাসক, গ্রামীণ পুলিশ সুপার, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির বক্তব্য, এই জেলায় প্রশাসন পরিচলিত বৃদ্ধাবাস নেই। প্রশাসনের তরফে বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রমে নজরদারি চালানোর ব্যবস্থাও নেই। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বয়স্কদের বিশেষ সুবিধা মেলে না। সংগঠনটির সদস্যদের প্রস্তাব, প্রতি থানায় বয়স্ক নাগরিকদের জন্য ‘হেল্পলাইন’ নম্বর খোলা উচিত। মাসে অন্তত এক বার তাঁদের সমস্যা নিয়ে কথা বলা হোক। বৃদ্ধাশ্রমে আবাসিকদের সঙ্গে অনেক সময় দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সেই কারণে প্রশাসনের তরফে বৃদ্ধাশ্রমে নিয়মিত নজরদারি চালানো দরকার। বৃদ্ধবৃদ্ধাদের অভিযোগ শুনতে পুলিশ এবং সমাজকল্যাণ দফতরের তরফে বিশেষ আধিকারিক নিয়োগের আবদন জানানো হয়।

সংগঠনের তরফে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বয়স হলে বহু মানুষের জীবন অসহায় অবস্থায় কাটে। প্রশাসনের উচিত গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের জীবন-যাপনের পথ সুগম করা। একটু আন্তরিক হলেই এই ব্যবস্থা সম্ভব।’’

চন্দননগর কমিশনারেটের তরফে অবশ্য ইতিমধ্যেই বৃদ্ধবৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে ‘অ্যাপ’ আনার তোড়জোড় শুরু করেছে। পুলিশের বক্তব্য, কোনও সমস্যায় পড়লে অ্যাপের মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন বয়স্ক নাগরিকরা। হেল্পলাইন নম্বরও থাকবে। বৃদ্ধবৃদ্ধাদের সমস্যার কথা জানতে পারলেই পুলিশকর্মীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। চন্দননগরের সংগঠনটির সদস্যদের বক্তব্য, পুলিশের উদ্যোগ সাধুবাদযোগ্য। তবে বাকি ব্যবস্থাও প্রশাসনের তরফে অবিলম্বে
করা দরকার।

কয়েক মাস আগে বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়া-১ পঞ্চায়েতে বৃদ্ধবৃদ্ধাদের জন্য মোবাইল ফোন পরিষেবা চালু হয়েছে। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, একাকী বৃদ্ধবৃদ্ধা ফোন করলে বাড়িতে গিয়ে পঞ্চায়েতের কর নিয়ে আসা হয়। কারও প্রয়োজনে রক্তের কার্ড পৌঁছে দিয়ে আসা হয়। অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

Police Senior Citizen Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy