ক্লাসে বসে ট্যাব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিল ছেলেটা। বারবার তাকাচ্ছিল ডান হাতের ক্রেপ ব্যান্ডেজ ঢাকা কব্জির দিকেও। সন্দেহ হওয়ায় শিক্ষকরা বিষয়টি জানান প্রধান শিক্ষককে। কেন সে ব্যান্ডেজ বেঁধেছে তার কোনও সদুত্তরটি দিতে পারেনি ছাত্রটি। এরপরই ছাত্রটিকে নিয়ে থানায় যান শিক্ষকরা। ব্যান্ডেজ খুলে দেখা যায়, কব্জিতে লাল রঙে ইংরেজিতে লেখা ‘ব্লু হোয়েল।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়ার শ্যামপুরের অনন্তপুর সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি জানার পরই দশম শ্রেণির ওই ছাত্রটির কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে নেওয়া হয়। কাউন্সেলিংও করানো হয় তার। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ছেলেটি ব্লু হোয়েল খেলার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশের দাবি, ছেলেটি কাউন্সেলিংয়ে জানিয়েছে, দিন চারেক আগে এক বন্ধু মারফত ‘ব্লু হোয়েল গেম’-এ এন্ট্রি নিয়েছিল সে। প্রথমে সে হাতের কব্জিতে নীল কালি দিয়ে ‘ব্লু হোয়েল’ শব্দটি লিখে ছবি তুলে পাঠিয়েছিল। কিন্তু ছবি গৃহীত হয়নি। তাকে পাল্টা জানানো হয়, সে যেন রক্ত দিয়ে ‘ব্লু হোয়েল’ শব্দটি লিখে পাঠায়। ছাত্রটি তখন মশা মেরে তার রক্ত আলতার সঙ্গে মিশিয়ে কব্জিতে ‘ব্লু হোয়েল’ শব্দটি লেখে। এ বার সেটি গৃহীত হয়। তারপরে চলতে থাকে খেলা। পুলিশকে ওই ছাত্রটি জানিয়েছে, এক সময় খেলা থেকে সে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু তার বাবাকে খুন করার হুমকি দেওয়ায় সে ভয়ে খেলা ছাড়তে পারেনি।