বিধ্বস্ত: বাড়ি ফেরার পর। নিজস্ব চিত্র
দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার ন’দিন পরে নার্সিংহোম থেকে বাড়ি ফিরলেন পোলবার টিনা কোলে। ফিরেই দাবি করলেন, হামলাকারীদের তিনি চেনেন না। গ্রেফতার হওয়া শেখ হাসেম আলিও তাঁর অচেনা। ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন ওই যুবতী।
গত ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরার সময়ে বাড়ির কাছেই একটি আলুখেতে আক্রান্ত হয়েছিলেন পোলবার নেকশার ঘোষপুরের বছর চব্বিশের ওই যুবতী। দুষ্কৃতীরা তাঁর মাথা-মুখ ফাটিয়ে দেয়। খোওয়া যায় তাঁর কানের দুল, হাতব্যাগ, মোবাইল। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে। মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকেই বাড়ি ফিরলেন ওই যুবতী। তবে, এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক আব্দুস সালাম জানান, টিনার মুখে প্রচণ্ড আঘাতের জন্য কয়েকটি দাঁত ভেঙে গিয়েছিল। তা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। ওঁর গালে প্লেট বসানো হয়েছে। কাঁধের হাড়েরও অস্ত্রোপচার হয়।
কী হয়েছিল ২১ জানুয়ারি?
বুধবার টিনা বলেন, ‘‘মহানাদের একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আমি কাজ করি। সে দিন সেখান থেকেই ফিরছিলাম। বাড়ির কাছে খেতের কাঁচা রাস্তায় কিছু ইট থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেল থেকে পড়ে যাই। হঠাৎ দু’টো লোক আমাকে শাবল দিয়ে মুখে মারে। আমি মাটিতে পড়ে যাই। জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আর কিছু মনে নেই। এখনও ভাল করে কথা বলতে পারছি না। মাঝেমধ্যে মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে।’’
ওই হামলার ছ’দিন পরে গুড়াপের ভাস্তারা থেকে শেখ হাসেম আলি নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, যথাযথ তদন্তের ভিত্তিতেই ওই দুষ্কৃতীকে ধরা হয়েছে। সে দোষ কবুলও করেছে। তার কাছ থেকে টিনার খোওয়া যাওয়া মোবাইলটিও উদ্ধার হয়েছে। হামলার পিছনে সে যে সব কারণ বলছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু টিনার দাবি, ‘‘ওই দুষ্কৃতীকে আমি চিনি না। পুলিশ তদন্ত করুক। আমি পুলিশ সুপারের কাছে যাব। তদন্তের জন্য প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাব।’’ তদন্তের দাবি তুলেছেন টিনার বাবা শম্ভুচরণবাবুও। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করার জন্য তিনি চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy