দুর্নীতির তদন্তের পরে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিডিও। ঘটনাটি গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের কুমুড়শা পঞ্চায়েতের। বিডিও অসিতবরণ ঘোষ বলেন, ‘‘তদন্তের পরে জেলাশাসকের নির্দেশ মতো পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বুধবার এফআইআর করা হয়েছে।’’
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, কুমুড়শা গ্রামের মণ্ডল ও ল্যাজাম পুকুর-সহ সংলগ্ন গ্রামীণ রাস্তার গায়ে ২০০৭ সালে বনসৃজন প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার গাছ লাগানো হয়। উপভোক্তাদের সঙ্গে পঞ্চায়েতের চুক্তি হয়, ২০১৮ সাল নাগাদ গাছ পরিণত হলে বৈধভাবে তা কেটে বিক্রি হবে। উপভোক্তাদের ভাগের মূল্য দেওয়া হবে। কিন্তু জরুরি প্রয়োজন দেখিয়ে ২০১৪ সালের অগস্ট মাসে গাছ কাটা হয়। অভিযোগ, শুধুমাত্র রাস্তার গাছ কাটার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই গাছ কাটার পাশাপাশি বেআইনিভাবে সংলগ্ন দু’টি পুকুরপাড়ের সমস্ত গাছও কেটে নেওয়া হয়। সেই অতিরিক্ত কাটা গাছের টাকা পঞ্চায়েতে জমা পড়েনি।
দলীয় নেতাদের সঙ্গে যোগসাজস করে প্রধান মারুফা বেগম এই দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্য মিঠু কুণ্ডুর। তাঁর দাবি, ‘‘গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষে কারচুপির বিষয়টি নজরে আসে। গত ৩ অক্টোবর বিডিও’র কাছে অভিযোগ জানাই। কোনও সাড়া না মেলায় বিষয়টি গত ৫ জানুয়ারি জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনা হয়।’’ বিডিও অবশ্য বলেছেন, ‘‘জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের নির্দেশে গত ডিসেম্বর মাসেই সেই তদন্ত শুরু হয়। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলাশাসক এফআইআর-এর নির্দেশ দেন।’’
চেষ্টা করে এ দিন প্রধান মারুফা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়, তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্ধমানে চিকিৎসাধীন। এ দিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও গত ডিসেম্বরে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা মেনেই গাছ কাটা হয়েছে। চুক্তি মতো উপভোক্তাদের মূল্য দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের লভ্যাংশ পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলে জমা পড়েছে কি না, বিডিও তদন্ত করছেন। আমি কোনও অন্যায় করিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy