Advertisement
E-Paper

রক্তের উপাদান ভাগের ব্যবস্থা চুঁচুড়া হাসপাতা‌লে

ডেঙ্গির মরসুমে প্লেটলেট দরকার হয়। প্রয়োজন হয় লোহিত রক্তকণিকার। এ বার রক্তের এই সমস্ত উপাদান মিলবে চুঁচুড়া ইমামবাড়া (সদর) হাসপাতালেও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:২৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ডেঙ্গির মরসুমে প্লেটলেট দরকার হয়। প্রয়োজন হয় লোহিত রক্তকণিকার। এ বার রক্তের এই সমস্ত উপাদান মিলবে চুঁচুড়া ইমামবাড়া (সদর) হাসপাতালেও।

হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী জানান, আজ, শুক্রবার তারকেশ্বরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিষেবার উদ্বোধ‌ন করবেন। হুগলিতে সরকারি হাসপাতালে এই পরিষেবা এটাই প্রথম। ওই স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘‘রক্তের উপাদান পৃথক করার ব্যবস্থা হওয়ায় এক জনের পূর্ণ রক্ত চার জন রোগীকে দেওয়া যেতে পারে। এতে রক্তের সদ্ব্যবহার বাড়বে। সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।’’ হাসপাতাল সুপার উজ্জ্বলেন্দুবিকাশ মণ্ডল জানান, রক্ত পৃথকীকরণ যন্ত্র কেনা-সহ প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করতে মোট ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। নতুন এই ইউনিটের লাইসেন্স চলে এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই পুরোদমে কাজ চালু হয়ে যাবে।

হুগলিতে ইমামবাড়া ছাড়াও শ্রীরামপুর, আরামবাগ এবং চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ব্লাডব্যাঙ্ক রয়েছে। কিন্তু এতদিন কোনওটিতেই রক্ত পৃথকীকরণের ব্যবস্থা ছিল না। রক্তের নির্দিষ্ট কোনও উপাদান দরকার হলে কলকাতায় ছুটতে হত রোগীর পরিজনদের। কয়েক বছর ধরে জেলার নানা জায়গায় ডেঙ্গির প্রকোপ ছড়ায়। অসুস্থদের জন্য রক্তের অনুচক্রিকা বা প্লেটলেট জোগাড় করতে বাড়ির লোকজনকে নাকাল হতে হয়। অনেক সময়েই কলকাতায় গিয়ে সরকারি হাসপাতালে রক্তের উপাদান না-মিললে বেসরকারি ব্লাডব্যাঙ্ক থেকে বেশি দামে তা কিনতে হয়। স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য, জেলার হাসপাতালে রক্তের জোগান স্বাভাবিক থাকলে মানুষকে আর এমন সমস্যায় পড়তে হবে না। উজ্বলেন্দুবাবু বলেন, ‘‘সব রোগীর পূর্ণ রক্ত প্রয়োজন হয় না। রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ ব্যবস্থা বিজ্ঞানভিত্তিক। এতে চিকিৎসার যেমন সুবিধা হবে, রক্তের সঙ্কটও কমবে।’’

হুগলিতে অবশ্য রক্তের পৃথকীকরণ ব্যবস্থা এটাই প্রথম নয়। এ ব্যাপারে ‘পথিকৃত’ শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতাল। সাড়ে পাঁচ মাস আগে এখানে রক্ত পৃথকীকরণ ব্যবস্থা-সহ ব্লাডব্যাঙ্ক চালু হয়েছে গণ-উদ্যোগে। ফলে, ইমামবাড়া নিয়ে হুগলির দু’টি হাসপাতালে এই ব্যবস্থা হতে চলেছে। ইমামবাড়া হাসপাতালে এই পরিষেবা নিয়ে শ্রমজীবী হাসপাতা‌লের এক কর্তা বলেন, ‘‘আরও আগেই এই ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। তবে দেরিতে হলেও যে এই কাজ হচ্ছে, এটা সাধুবাদযোগ্য। সব জেলাতেই একটি হাসপাতালে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ ব্যবস্থা থাকা উচিত।’’

Chinsura Hospital Blood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy