Advertisement
E-Paper

সংস্কার হলে নজরে ৩, বাকি সব দুয়োরানি

এ যেন সুয়োরানি, দুয়োরানির গল্প। মহকুমার প্রধান তিনটি সেতুর দেখভাল নিয়েই প্রশাসনের মাথাব্যথা। বাকি সেতুগুলির দিকে কোনও নজর নেই তাদের।

পীযূষ নন্দী

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০৪

এ যেন সুয়োরানি, দুয়োরানির গল্প।

মহকুমার প্রধান তিনটি সেতুর দেখভাল নিয়েই প্রশাসনের মাথাব্যথা। বাকি সেতুগুলির দিকে কোনও নজর নেই তাদের। দিনের পর দিন কোনও সংস্কার না হওয়ায় এখন ওই সব সেতুর বিপজ্জনক অবস্থা। যে কোনও সময় তা ভেঙে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আরামবাগ মহকুমা পূর্ত দফতরের আশঙ্কা।

হুগলি জেলার সেতুগুলির স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ৯ জুন জেলাশাসক নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন। সেইমত জুন মাসের শেষে বিশেষজ্ঞ বাস্তুকাররা সেতুগুলির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠান। সেতুগুলির দ্রুত মেরামতির প্রয়োজন জানিয়ে প্রকল্প তৈরি করে টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু সেই টাকা এখনও মেলেনি বলে অভিযোগ মহকুমা পূর্ত দফতরের কর্তাদের।

আরামবাগ পূর্ত দফতরের তিনটি বিভাগের (রাস্তা, নির্মান, সাধারণ) অধীনে ছোট-বড় মিলিয়ে কালভার্ট সহ সেতুর সংখ্যা ৯৭টি। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, পুরশুড়া দিগরুইঘাটে মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর নবনির্মিত সেতুটি ছাড়া অধিকাংশ সেতুরই নির্মাণ সময় ১৯৬৭ থেকে ’৭৭ সালের মধ্যে। এগুলির মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে কলকাতা বা তারকেশ্বরের যোগাযোগের মূল মাধ্যম আরামবাগের পল্লিশ্রীতে দ্বারকেশ্বর নদীর উপর রামকৃষ্ণ সেতু, হরিণখোলায় মুণ্ডেশ্বরীর উপর রামমোহন সেতু এবং পুরশুড়া ও চাঁপাডাঙার মধ্যে সংযোগকারী দামোদরের উপর বিদ্যাসাগর সেতুতে কিছু সংস্কারের কাজ হয়েছে। এই সেতুগুলি পূর্ত দফতরের (সাধারণ) অধীনে। দফতরের (সাধারণ) সহকারী বাস্তুকার নিরঞ্জন ভড় বলেন, “তিনটি নদীর সেতু সংস্কারের কাজ চললেও বাকিগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। বিশেষত সেতুর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে তার ‘এক্সপ্যানশন জয়েন্ট’ মেরামত জরুরি।’’

একই অবস্থা পূর্ত দফতরের নির্মাণ বিভাগের। তাঁদের অধীনে নদী-সেতু না থাকলেও আরামবাগের মায়াপুর থেকে খানাকুলের গড়েরঘাট এবং পুরশুড়া থেকে খানাকুলের হেলান পর্যন্ত ৭৩টি কালভার্ট ও সেতু আছে। অতি বন্যাপ্রবণ এই সব এলাকায় সেগুলির একটিও সংস্কার হয়নি। পূর্ত দফতরের (নির্মাণ) সহকারী বাস্তুকার অচিন্ত্য দে বলেন, “সব সেতুরই মেরামত প্রয়োজন। বেশ কিছু সেতু ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর কাছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে অবিলম্বে মেরামতির সুপারিশ করা হয়েছে। তবে টাকা এখনও মেলেনি।”

Bridges Reformation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy