বাংলাদেশের তরুণ নেতা ওসমান হাদির হত্যার তদন্তে দৃশ্যত অস্বস্তিতে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মূল অভিযুক্তেরা কোথায়, তা এখনও জানে না বাংলাদেশের পুলিশ। তদন্তকারী সংস্থার অকর্মণ্যতার অভিযোগ উঠছে সে দেশের অন্দরেই। উঠছে ইউনূস সরকারের উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পেল সোমবার। ফের এক তরুণ নেতাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশে।
বর্তমানে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার জন্য আবেদনও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের মধ্যে। তা হলে কি তাঁরা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রাণ সংশয়ে ভুগতে শুরু করেছেন? এমন প্রশ্নও উঁকি মারতে শুরু করেছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কোনও একটি নির্দিষ্ট দল নয়, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় বিভিন্ন দলের নেতারা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে শুরু করেছেন।
এক দিকে যখন বাংলাদেশের ঘরোয়া পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে, তখন নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনীতির চাপানউতরও বৃদ্ধি করে চলেছে ঢাকা। দু’দেশের মধ্যে টানাপড়েন আগে থেকেই চলছিল। এ বার তা আরও উচ্চগ্রামে। ভারত এবং বাংলাদেশের কূটনীতিতে যে কালো মেঘ জমেছে, তাতে এ বার ভিসা-কেন্দ্রের কূটনীতিও জুড়ে দিল ঢাকা। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিল দিল্লিতে বাংলাদেশের ভিসা-কেন্দ্র। এক দিকে যখন নিজের দেশেই হাদি হত্যার তদন্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ছে ইউনূস সরকার, তখন দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনে ভিসা পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
ফের তরুণ নেতা খুনের চেষ্টা
বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র এক নেতাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে সোমবার। খুলনার সোনাডাঙায় গুলি করা হয় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মহম্মদ মোতালেব শিকদারকে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। বস্তুত, হাসিনা-বিরোধী রাজনীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে এই নতুন দল গড়ে উঠেছে। গত বছর হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের একাংশই এই দলটি গঠন করেছে। কিছু দিনের মধ্যেই খুলনায় এনসিপির শ্রমিক সংগঠনের একটি সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী বছরে বাংলাদেশে নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে প্রথমে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা হাদিকে হত্যা এবং তার পরে এনসিপি নেতা মোতালেবকে হত্যার চেষ্টা সে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
হাদি-তদন্তে অস্বস্তিতে ইউনূসেরা
হাদি হত্যার তদন্তে বর্তমানে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মূল অভিযুক্তেরা এখনও গ্রেফতার হননি। তাঁরা বাংলাদেশেই রয়েছেন, নাকি বিদেশে পালিয়েছেন— সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই পুলিশের কাছে। সোমবার দুপুরে শাহবাগ চত্বর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তদন্তকারী সংস্থা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলে ইনকিলাব ম়ঞ্চ। হাদি হত্যায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে আগেই ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা দিয়েছিল তারা। কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছু অগ্রগতি না হওয়ায় উষ্মাপ্রকাশ করে নিহত নেতার সংগঠন। অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করা হবে, নাকি সরকার ফেলে দিতে আন্দোলন শুরু হবে— সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হবে বলে হুঙ্কার দেয় হাদির সংগঠন।
এই অস্বস্তির মাঝেই ইউনূস সরকার ঘোষণা করে, হাদির হত্যার বিচার হবে সে দেশের ফাস্ট ট্র্যাক ট্রাইবুনালে। পুলিশি রিপোর্ট পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলেও জানায় তারা। কিন্তু তাতেও অস্বস্তি কাটেনি। ওই ঘোষণার পরক্ষণেই তিন দফা দাবিতে বিবৃতি দেয় নিহত নেতা হাদির দল। তাদের দাবি, ৩০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। ইউনূস সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী এবং আইন উপদেষ্টাকেও ‘খুনের সকল দায় নিয়ে’ পদত্যাগ করতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদন
উদ্ভূত পরিস্থিতির মাঝেই বাংলাদেশে দলমত নির্বিশেষে ১৫ জন রাজনীতিক আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স বা নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে ‘প্রথম আলো’-র এক প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদনেই জানানো হয়েছে, আবেদনগুলি খতিয়ে দেখতে চলতি সপ্তাহেই বৈঠকে বসছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেহরক্ষী কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছেন ২৫ জন সরকারি আধিকারিকও। যে সমস্ত নেতা নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, জামাত নেতা আমির শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি অলি আহমদ। নাম প্রকাশ না-করার শর্তে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা ‘প্রথম আলো’-কে জানান, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার পর নিরাপত্তা চেয়ে রাজনীতিবিদদের আবেদন ও খোঁজখবর নেওয়া বেড়েছে। তবে তার আগেও কয়েক জন নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।
ভিসা-কেন্দ্রের কূটনীতি
সোমবার আচমকাই দিল্লির ভিসা-কেন্দ্র অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের হাইকমিশন। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে তারা দিল্লিতে ভিসা এবং কনসুলার সেবা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না-হওয়া পর্যন্ত এই পরিষেবাগুলি তারা বন্ধ রাখবে। কী কারণে ঢাকা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতিও দেয়নি তারা। তবে সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নয়াদিল্লি। তার পরে আরও দুই শহর রাজশাহী এবং খুলনাতেও ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা-কেন্দ্রও।
নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপগুলির নেপথ্যে সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। প্রথমে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ঢাকায় ভিসা-কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি। পরে বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকা। ওই সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারতের ডেপুটি হাইকমিশন ঘেরাওয়ের ডাক দেয় সে দেশের একটি গোষ্ঠী। ওই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনের দফতর লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠি চালায় এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। উত্তেজনা ছড়ায় সিলেটেও। তার পরেই রবিবার চট্টগ্রামের ভিসা কেন্দ্র বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে আইভ্যাক। নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয় সিলেটের উপদূতাবাসের কাছেও।
দিল্লিতেও সম্প্রতি বাংলাদেশের হাইকমিশনের কাছে একটি বিক্ষোভ হয়েছিল। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে, বাংলাদেশের হাইকমিশনে কেউ জোর করে প্রবেশের কোনও চেষ্টা করেননি। যদিও বাংলাদেশের দাবি, এই ঘটনাকে ‘সরলীকরণ’ করছে ভারত। এই পরিস্থিতির মাঝে সোমবার আচমকাই ভিসা-কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল ঢাকা। নির্দিষ্ট ভাবে কোনও কারণ উল্লেখ করা না-হলেও, অনুমান করা হচ্ছে নয়াদিল্লির উপর চাপ তৈরির কৌশল হিসাবেই দিল্লিতে ভিসা পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।
মুখ খুললেন হাসিনা
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মাঝে এ বার মুখ খুললেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। দিল্লি এবং ঢাকার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েনের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকেই দায়ী করেছেন তিনি। হাসিনার অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার আদতে ক্ষমতাহীন। তাই বাংলাদেশে হিংসাই এখন স্বাভাবিক ঘটনা। এএনআই-কে ইমেল মারফত এক সাক্ষাৎকার হাসিনা বলেন, “সম্পর্কের অবনতি, যা আপনারা লক্ষ করছেন, তা পুরোপুরি ইউনূসের তৈরি। তাঁর (ইউনূস) সরকার ভারতের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছে, সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং চরমপন্থীদের বিদেশনীতি নির্ধারণ করার সুযোগ দিচ্ছে।” তবে ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্কের স্থায়িত্ব নিয়ে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। হাসিনা বলেন, “ভারত বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু এবং বহু দশকের সঙ্গী।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমি আশাবাদী যে, বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ (ভারতের সঙ্গে) বাস্তববাদী বোঝাপড়ার রাস্তায় ফিরবে, যা আমরা গত ১৫ বছর ধরে বজায় রেখেছিলাম।”
দীপুর খুন নিয়ে পুলিশের ‘আক্ষেপ’
বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতির মাঝেই ময়মনসিংহে খুন হন দীপুচন্দ্র দাস। পিটিয়ে হত্যার পরে তাঁর দেহে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাংলাদেশের পুলিশের দাবি, ঠিক সময়ে পুলিশ ঘটনার খবর পেলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতেন দীপু। ময়মনসিংহের শিল্প পুলিশ সুপার মহম্মদ ফারহাদ হোসেন খানের বক্তব্য, রাত ৮ টার দিকে একজন সহকারী সাব-ইনস্পেক্টর তাঁকে ঘটনাটি সম্পর্কে জানান। ওই কারখানা থেকে তাঁদের দফতর প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে, তবে ভালুকা থানা ও ঘটনাস্থলের দূরত্ব তুলনায় কম।
ফারহাদের কথায়, ‘‘আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হই। কিন্তু তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় কয়েকশো মানুষ ছিল। বিশাল ভিড় ঠেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছোনো খুব কঠিন ছিল। যখন আমরা কারখানার গেটে পৌঁছোই, তখন দেখি উত্তেজিত জনতা মরদেহটি প্রায় দু’ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’’ এর জেরে ওই রাস্তায় পরবর্তী প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। ফারহাদের দাবি, ‘‘ঠিক সময়ে ফোন করলে হয়তো দীপুর প্রাণ বাঁচানো যেত, কিন্তু ফোন আসেনি।’’
সংবাদপত্রের দফতরে তাণ্ডবের তদন্ত
হাদি মৃত্যুর পরে বাংলাদেশের দুই সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ এবং ‘ডেলি স্টার’-এ তাণ্ডবের সময় সেখানে দেদার লুটপাট চালায় এক দল জনতা। ওই লুটপাটের ঘটনার ভিডিয়ো দেখে বেশ কয়েক জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। করা হয়েছে গ্রেফতারও। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার তিন দিন পর ১৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, আরও বেশ কয়েক জনকে এ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদেরও খোঁজ চলছে। ধৃতদের জেরা করে বিভিন্ন তথ্যও উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। এক অভিযুক্তকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তিনি এক লক্ষ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছিলেন! তদন্তকারীরা তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করতে পেরেছেন। তবে বাকি টাকা পাওয়া যায়নি। ধৃত ব্যক্তি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তিনি লুটের টাকা দিয়ে ঢাকার মহম্মদপুর এলাকা থেকে একটি টিভি এবং একটি ফ্রিজ় কিনেছেন। সেই সূত্র ধরে টিভি-ফ্রিজ় দু’টি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।