রামনবমীর মিছিলে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা শুরু করল চন্দননগর কমিশনারেট এবং হুগলি গ্রামীণ এলাকার চারটি থানা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মিছিলের বেশ কিছু অস্ত্রধারীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়েরও হয়েছে। চন্দননগর কমিশনারেটের অফিসার অজয় কুমার বলেন, “ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর এবং চুঁচুড়া থানায় তিনটি ভিন্ন মামলা শুরু হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, রামনবমী উপলক্ষে শুধুমাত্র মিছিলের অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় মাধ্যমিক, আইএসসি এবং সিবিএসই পরীক্ষা চলছিল। অভিযোগ, মিছিলের অনুমতির সুযোগ নিয়ে আইন ভঙ্গ করা হয়েছে। তলোয়ার, খাঁড়া, ভোজালি-সহ নানা ধরনের ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিল হয়। নাবালকদের হাতেই ধরিয়ে দেওয়া হয় অস্ত্র। শুধু তাই নয়, তীব্র শব্দমাত্রায় বেজেছে ডিজে বক্স। অভিযোগ, চন্দননগরের মিছিলে তরোয়াল খেলার সময় দু’জন জখম হন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে আলাদা আলাদা দিনে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। সেই অনুযায়ী ২৫ মার্চ চুঁচুড়ায়, ২৬ মার্চ চন্দননগর এবং ২৮ মার্চ ভদ্রেশ্বরে মিছিল হয়। কিন্তু হুগলির বিভিন্ন এলাকা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ার বালি বেলুড়, লিলুয়া থেকে লোক আনা হয় মিছিলে।
পুলিশের দাবি, মিছিলকারীদের মধ্যে মিশে ছিল অনেক দুষ্কৃতী। বিভিন্ন জেলার একাধিক থানায় তাদের নামে আগেই অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এক পুলিশ কর্তার দাবি, ওই মিছিলে ছিলেন সাদা পোশাকের পুলিশ। ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে গোটা মিছিলেন। সেই ফুটেজ থেকেই চিহ্নিত করা হয়েছে মিছিলকারীদের। ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর এবং চুঁচুড়ায় রামনবমীর মিছিলের অনেক স্থানীয় সংগঠকও ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনভঙ্গের অভিযোগ আনা হচ্ছে।