সাত দিনেও জট কাটল না।
তাঁরা কাজে গুরুত্ব পাচ্ছেন না, এই অভিযোগে এক সপ্তাহ আগে মেয়রের কাছে চিঠি দিয়ে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন চন্দননগর পুরসভার ১৬ জন প্রবীণ তৃণমূল কাউন্সিলর। বুধবার পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকেও বসেন ওই কাউন্সিলররা। কিন্তু কোনও রফাসূত্র মেলেনি বলে পুরসভা সূত্রের খবর। এই অবস্থায় আগামী ৩০ অগস্ট পুরবোর্ডের বৈঠকের শাসকদলের কাউন্সিলরদের ক’জন উপস্থিত হন এ নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, সোজাসাপ্টা অঙ্কে ওই বোর্ড মিটিংয়ে শাসকদলের ‘কোরাম’ (সংখ্যা গরিষ্ঠতা) হওয়ার কথা নয়। ৩৩ আসনের পুরসভায় ১৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলর ‘বিদ্রোহ’ করেছেন। বামেদের হাতে রয়েছে ১০টি আসন। অঙ্কের হিসেবেই মেয়র-সহ পুরবোর্ডে শাসকদলের ৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর ‘সখ্যালঘু’ হয়ে পড়েছেন। ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরদের সঙ্গে তাঁদের তাল ঠোকাঠুকি অব্যাহত। ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরদের একটাই দাবি, সন্ধির জায়গা নেই। একমাত্র পুরবোর্ডে তাঁদের সম্মান জানানোর শর্তেই আলোচনা হতে পারে। এই অবস্থায় আগামী দিনে পুরসভার সমীকরণ কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শহরে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিদ্রোহীদের এক নেতা বলেন, ‘‘দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দলে প্রবীণদের গুরুত্ব ও সম্মান দেওযার কথা বলেছেন। আমরা কথা বলতে চাইলে, বরখাস্তের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা দিদির সঙ্গেই কথা বলব।’’ পক্ষান্তরে, মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি সম্পর্কে দলীয় নেতৃত্বকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি মিটে যাবে সব।’’ দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘অযথা কথা চালাচালি করলে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে। কে কাকে কী বলেছেন, জানি না। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত দু’পক্ষকে আলোচনার কথা বলে দিয়েছি।’’
তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর, ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলররা দলের এক নেতার সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই নেতা শুধু ‘বিদ্রোহী’দের সঙ্গে আলোচনায় যেতে চাননি। ওই কাউন্সিলরদের তিনি জানিয়ে দেন, মেয়রকে চিঠি দেওয়া ‘দলবিরোধী’ কাজ হিসেবে গণ্য করা হবে। দল তাঁদের বহিষ্কার করবে। এতে আরও ক্ষুব্ধ হন ‘বিদ্রোহী’রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy