চুরি হয়েছিল এই গয়নাই। ছবি: তাপস ঘোষ
লক্ষ্মীপুজোর সময়ে বাড়ি ফাঁকা রেখে বেড়াতে যাওয়ার খেসারত দিতে হয়েছিল চন্দননগরের বাগবাজারের দু’টি পরিবারকে। চোরেরা সাফ করে দিয়েছিল সোনা-রুপোর গয়না-সহ মূল্যবান নানা জিনিসপত্র। তার মধ্যে একটি পরিবার তাদের চুরি যাওয়া গয়না ও জিনিসপত্র ফিরে পেল। ধরা পড়ল দুই দুষ্কৃতী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দু’টি বাড়িতে চুরি হয়েছিল, তার একটির মালিক সোমনাথ ঘোষ। অন্যটির শিবদাস কর্মকার। তদন্তে নেমে চলতি মাসের ২ তারিখে উর্দিবাজার এলাকা থেকে মহম্মদ শাহিদ নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরা হয়। তাকে জেরা করে গত বৃহস্পতিবার রাতে ধরা হয় কুটির মাঠ এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ সেলিমকে। শুক্রবার তার বাড়ি থেকেই সোমনাথবাবুদের চুরি যাওয়া গয়না-সহ নানা জিনিস উদ্ধার করেন তদন্তকারী অফিসার বিশ্বজিৎ পাল এবং দীপশ্রী সেনগুপ্ত। সেই সব জিনিস শনিবার সোমনাথবাবুর হাতে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, দ্বিতীয় চুরির ঘটনাটিরও কিনারা করার চেষ্টা হচ্ছে। তল্লাশি চলছে। ওই চক্রে আরও কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চুরি যাওয়া জিনিসপত্র যে এত তাড়াতাড়ি ফিরে পাবেন, তা ভাবতে পারেননি সোমনাথবাবু। তিনি এ জন্য পুলিশের প্রশংসাও করেছেন। লক্ষ্মীপুজোর সময়ে তিনি স্ত্রী মাধবীদেবীকে নিয়ে মথুরা-বৃন্দাবন বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে বিদেশে থাকেন। কয়েকদিন পরে বাড়ি ফিরে সোমনাথবাবুরা দেখেন, সদর দরজার তালা খোলা। একই দশা ঘরেরও। জিনিসপত্র তছনছ, আলমারিও ভাঙা। ভিতর থেকে গয়না উধাও। সোমনাথবাবুরা ফেরার পরের দিনই বাঁকুড়া থেকে বেড়িয়ে বাড়ি ফেরেন শিবদাসবাবু ও তাঁর স্ত্রী। তাঁর বাড়িতে চোরেরা ঢুকেছিল ছাদের দরজা ভেঙে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy