দাবি মতো টাকা না পেয়ে একটি ট্রাক ভাঙচুর, চালক-খালাসিকে মারধরের অভিযোগে ছয় যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক কনস্টেবল এবং দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কানাইপুরের বাঁশাই এলাকায় নৈটি রোডে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কানাইপুর বাঁশাই এলাকায় ‘মিতালি সঙ্ঘ’ নামে একটি ক্লাবে কালীপুজো হয়। এ দিন দুপুরে ওই ক্লাবের সদস্যরা নৈটি রোডে দাঁড়িয়ে গাড়ি থেকে চাঁদা কাটছিলেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ একটি খালি ট্রাক ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। অভিযোগ, তখন ক্লাবের সদস্যরা ট্রাক থামিয়ে ২০ টাকা চাঁদা চান। কিন্তু চালক ও খালাসি ১০ টাকার বেশি দিতে রাজি হননি। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। চালক ১০ টাকা এক জনের হাতে ধরিয়ে দিয়ে গাড়ি পালান। নাছোড় চাঁদা আদায়কারীরা ট্রাকটির পিছু নেয়। কিছুটা দূরে ডানকুনির খড়িয়ালের কাছে তাঁরা ট্রাকটিকে দাঁড় করায়। চালক এবং খালাসি দু’জনকেই মারধর করা হয়। ট্রাকটিও ভাঙচুর করা হয়।
খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। প্রহৃত চালক ও খালাসিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চালক গোপীনাথ গড়াই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ছ’জনকে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রাকেশ ঘোষ, সুমন্ত ঘোষ, উত্তম বিশ্বাস, মনু দেওয়ান, গণেশ মাইতি এবং সৌম্য মালিক। উত্তম রাজ্য পুলিশের ১৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল। তিনি পুরুলিয়ায় কর্মরত। ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। রাকেশ এবং সুমন্ত কানাইপুর ফাঁড়িতে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেন। চাঁদার রসিদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে জুলুম, মারধর, ভাঙচুর প্রভৃতি মামলা রুজু হয়েছে।
ডিউটিতে না থাকলেও ধৃত কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়াররা আইনের রক্ষক। তাঁদের এই কাজে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘ডিউটিতে থাকুন বা নাই থাকুন, আইনের রক্ষক হয়ে আইনের বিরুদ্ধে কাজ করা ঠিক হয়নি। সে জন্য ওঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy