ব্যস্ত: চলছে স্কুল। নিজস্ব চিত্র
জেলা প্রশাসনের চাপে নতুন শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ দিনে পড়াশোনা শুরু হল পান্ডুয়ার রাধারানি উচ্চ বিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার স্কুলে এসেছিলেন প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্য শিক্ষিকারাও। নতুন ক্লাসে ভর্তির প্রক্রিয়ার কাজও হয়েছে। মিড ডে মিলের রান্না হয়েছে। এ দিন চারশো জন খাবার খেয়েছে। স্কুলে হাজির ছিল এক হাজারের বেশি পড়ুয়া।
স্কুলে অচলাবস্থা কাটলেও আদতে জটিলতা কমেিন। মঙ্গলবার স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় স্কুলের শিক্ষিকাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। অসিতবাবুর দাবি, স্কুলের পঠনপাঠন ঠিক করে চালাতে গেলে প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী সরকারকে দশদিন সবেতন ছুটি দিতে হবে। তিনি জানান, এ বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক লক্ষ্মীধর দাসকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
তাঁর যুক্তি, ‘‘প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে অন্য সকল শিক্ষিকাদের সমস্যা হচ্ছে। তার ফল ভোগ করছে পড়ুয়ারা। বনিবনা হচ্ছে না। তাই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা মহকুমাশাসক অরিন্দম বিশ্বাসের নির্দেশে মঙ্গলবার সব শিক্ষিকাই স্কুলে এসেছিলেন। তবে স্কুলের হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষিকা ছাড়া আর কেউ সই করছেন না। আর যে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে হাজিরা দেওয়া নিয়ে এত ঝামেলা, সেটি ব্যবহার করছেন না কেউই। অসিতবাবু জানান, ‘‘বায়োমেট্রিক মেশিনটি খারাপ বলে জেনেছি। ওটা সারিয়ে নেওয়া হবে।’’ তবে কবে থেকে সেই পদ্ধতি ব্যবহৃত হবে, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
অভিভাবকরাও স্কুলের শিক্ষিকাদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ। অরূপ সরকার নামে এক অভিভাবকের ক্ষোভ, ‘‘একটা প্রতিষ্ঠানের মাথাকে এভাবে অসম্মান করা যায়?’’ আরতি বিশ্বাস নামে আর এক অভিভাবিকার কথায়, ‘‘মেশিনে উপস্থিতি দেখা গেলেই বোঝা যাবে, দিদিমণিরা সময়ে স্কুলে আসেন না।’’
প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী সরকার বলেন, ‘‘আমি সব শিক্ষিকাদের নিয়ে স্কুল পরিচালনা করতে চাই। কিন্তু ওঁরা সহযোগিতা করছেন না।’’ ছুটি প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক লক্ষ্মীধর দাস বলেন, ‘‘স্কুল পরিচালন কমিটির তরফে প্রধান শিক্ষিকার ছুটির জন্য আবেদন এসেছে। তবে সেটি মঞ্জুর করব কি না ভেবে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy