সংস্কার: পুকুর থেকে তোলা হচ্ছে পানা। ছবি: প্রকাশ পাল
উত্তরপাড়া এলাকার বেশিরভাগ পুকুরই হয় মজে গিয়েছে, না-হয় ব্যবহারের অযোগ্য। ওই সব পুকুর এখন মশা-মাছির আঁতুরঘর। বর্ষার মরসুম শুরুর আগে শনিবার থেকে পুর এলাকার ওই সব পুকুর পরিষ্কারে হাত দিল উত্তরপাড়া পুরসভা।
এ দিন কোতরং-ধর্মতলা এলাকার একটি পুকুর পরিস্কার করানো হয়। পুরপ্রধান দিলীপ যাদব নিজে সাফাই-কাজ তদারকি করেন। কিন্তু কাজ শুরুর আগে নিজে পুকুর-মালিক পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি আপত্তি জানান। পুলিশও ডাকেন। কিন্তু তাতে কাজ আটকায়নি। পুরপ্রধান বলেন,‘‘এই কাজে দক্ষ হাওড়া পুর এলাকা থেকে আমি একটি দলকে নিয়ে এসেছি। পুকুরের সব আবর্জনা পরিষ্কার করে হাল না-ফেরা পর্যন্ত ওঁরা কাজ করবেন।’’
বছর খানেক আগে পুর কর্তৃপক্ষ শহরের সব পুকুর-মালিককে ডেকে পুকুর পরিষ্কার রাখার আবেদন করেছিলেন। তারপরে বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু পুকুর পরিষ্কারও হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পুর কর্তৃপক্ষকে মালিকেরা জানিয়েছিলেন, শরিকি পুকুর রক্ষণাবেক্ষণে তাঁরা খুব আগ্রহী নন। এর পরেই পুকুর সাফাইয়ে ভাটা পড়ে। গত বছর বর্ষার মরসুমে পুর এলাকায় মশাবাহিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। জ্বরে একজন মারাও যান। তার পরে ফের পুকুর পরিষ্কারের দাবি ওঠে। এই পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়েই পুরসভা এ বার নিজ উদ্যোগেই পুকুরগুলির হাল ফেরাতে ময়দানে নামল। ধীরে ধীরে আবর্জনা বা কচুরিপানায় ঢাকা শহরের অন্তত ১০০টি পুকুরে সাফাই অফিযান চলবে বলে পুরসভা জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy