Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Coronavirus

দূরত্ববিধি শিকেয়, ফের রমরমিয়ে কোচিং ক্লাস

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কোচিং ক্লাসের ঘরগুলি ছোট। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ছত্রছাত্রীদের বসা সম্ভব নয়।

কুলগাছিয়াতে চলছে কোচিং সেন্টার।

কুলগাছিয়াতে চলছে কোচিং সেন্টার।

সুব্রত জানা উলুবেড়িয়া
সুব্রত জানা উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২০ ০৫:২১
Share: Save:

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখায় জোর দিচ্ছে সরকার। এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোচিং ক্লাসগুলি চালুর অনুমতি মেলেনি। তা সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ায় ফের কিছু কোচিং সেন্টার চালু হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রছাত্রীদের ভিড়ও হচ্ছে সেখানে। গ্রামবাসীদের একাংশ এ নিয়ে উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই সেন্টারগুলির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের একাংশ দূরত্ব-বিধি না-মানার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, “গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়ে কোচিং সেন্টারগুলি বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। কিছুদিন বন্ধও ছিল। ফের চালু হয়ে থাকলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কোচিং ক্লাসের ঘরগুলি ছোট। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ছত্রছাত্রীদের বসা সম্ভব নয়। অথচ, এ সবের তোয়াক্কা না-করেই কোচিং সেন্টার চলছে।

অভিভাবকরাই বা সেখানে ছেলেমেয়েদের পাঠাচ্ছেন কেন? অনেকেরই দাবি, বাধ্য হয়ে। কুলগাছিয়ার এক মহিলা বলেন, ‘‘লকডাউন এখনও পুরোপুরি ওঠেনি। বেশ কয়েকজন শিক্ষক কোচিং ক্লাস শুরু করেছেন। ছেলেমেয়েরা বাধ্য হয়েই পড়তে যাচ্ছে। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” এক অভিভাবক বলেন, “মেয়েকে পাঠাব না ভেবেছিলাম। কিন্তু কোচিং সেন্টারে পড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে। মেয়ে যাতে পড়াশোনায় পিছিয়ে না-পড়ে, সে জন্য বাধ্য হয়ে পাঠাচ্ছি।”

দূরত্ব-বিধি না-মানার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখর মাইতি নামে এক কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। তাঁর দাবি, ‘‘লকডাউনে কোচিং বন্ধ রেখেছিলাম। অভিভাবকদের অনুরোধে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পড়ানো শুরু করেছি। আগে এক সঙ্গে ৩০ জনকে পড়াতাম। এখন দূরত্ব-বিধি মেনে অর্ধেক পড়ুয়াকে পড়াই।” প্রতাপ ঘোষ নামে আর এক শিক্ষক বলেন, “আমার কোচিং সেন্টারে প্রায় চারশো জন ছাত্রছাত্রীকে পড়াই। এখন শুধু মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছি। প্রত্যেক পড়ুয়া কোচিংয়ে ঢোকার আগে হাত স্যানিটাইজ় করছে। বাড়ি থেকে বসার জন্য আসন আনছে। একটি ব্যাচ পড়ানোর শেষে ঘর ভাল করে ধুয়ে ফেলা হচ্ছে। ফলে, সংক্রমণ ছড়াবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Covid-19 Unlock 1.0
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE