Advertisement
E-Paper

সাত দিনে চার বার ট্রেন বিভ্রাট, দুর্ভোগ

শ্রীরামপুর, তারকেশ্বরের পরে এ বার ব্যান্ডেল এবং তার কয়েক ঘণ্টা পরে লোকনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৫
আটকে: শুক্রবার ভোরে লোকনাথ স্টেশনে থমকে ট্রেন। নিজস্ব চিত্র

আটকে: শুক্রবার ভোরে লোকনাথ স্টেশনে থমকে ট্রেন। নিজস্ব চিত্র

সাত দিনে চার বার!

হাওড়া-বর্ধমান মেন এবং হাওড়া-আরামবাগ শাখায় ট্রেন বিভ্রাটে যাত্রী-দুর্ভোগ সামাল দিতে ফের ব্যর্থতার অভিযোগ উঠল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

শ্রীরামপুর, তারকেশ্বরের পরে এ বার ব্যান্ডেল এবং তার কয়েক ঘণ্টা পরে লোকনাথ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যান্ডেলের কাছে আপ বর্ধমান লোকালের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে গিয়েছিল। তার জেরে অফিস ফেরত নিত্যযাত্রীদের গভীর রাত পর্যন্ত ট্রেনেই বসে-দাঁড়িয়ে কাটাতে হল। নিত্যযাত্রীরা বিক্ষোভ দেখালেন ব্যান্ডেলে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে। শুক্রবার ভোরে আবার প্রথম আপ আরামবাগ লোকাল তারকেশ্বর শাখার লোকনাথ স্টেশনের কাছে একটি ষাঁড়কে ধাক্কা মারায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। ওই শাখার বিভিন্ন স্টেশনে আপ ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেলা গড়িয়ে যায়।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

লোকাল ট্রেনের ‘লেট’-এ চলা নিয়ে দুই শাখার নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ অনেক দিনের। কিন্তু এখন যে ভাবে তাঁদের ভুগতে হচ্ছে, তাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রেলের তৎপরতা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হাওড়া স্টেশন থেকে বর্ধমান লোকাল ধরেছিলেন পান্ডুয়ার ইন্দ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়। বাড়ি পৌঁছন রাত দেড়টায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ঝড়বৃষ্টি হলে তা-ও একটা কথা ছিল। কিন্তু একটা ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভাঙার জন্য এত ভোগান্তি? রেল যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বলে। প্রতি স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়েছিল।’’

মানুষের ভোগান্তির কথা অবশ্য অস্বীকার করেননি পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক দিনে যা হয়েছে, সবই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা কোনও পূর্বাভাস দিয়ে হয় না। তবে আমরা চেষ্টা করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন চালু করে যাত্রীদের স্বস্তি দিতে। বৃহস্পতিবার রাতে প্যান্টোগ্রাফ ভাঙায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। যান্ত্রিক ত্রুটি মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়েছে।’’

গত ৬ এপ্রিল বিকেলে শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে রেলেরই একটি ‘ইনস্পেকশন কার’-এ ধাক্কা মারে আপ শেওড়াফুলি লোকাল। তার জেরে যাত্রীদের ভোগান্তি মাঝরাত পেরিয়ে যায়। এক-একটি স্টেশনে ১০-১৫ মিনিট করে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। কামরাগুলি ছিল ভিড়ে ঠাসা। তার দু’দিন পরে আবার তারকেশ্বর স্টেশনের লাইনে ফাটল দেখা যায়। ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটা ৬ এপ্রিলের মতোই। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ব্যান্ডেল ছেড়ে এগোতেই আপ বর্ধমান লোকালের প্যান্টোগ্রাফ ভাঙে। ট্রেনটি ব্যান্ডেল ও আদিসপ্তগ্রাম স্টেশনের মধ্যে দাঁড়িয়ে পড়ে।

দুর্ঘটনার জেরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় এ ক্ষেত্রেও হাওড়া-সহ বহু স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় জমে যায়। এ ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে মাঝরাত পেরিয়ে যায়। রাত ১০টা ২০ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়া ব্যান্ডেল লোকাল চন্দননগরে পৌঁছয় ১টায়। ব্যান্ডেল থেকে রাত ১০টার কাটোয়া লোকাল না-পেয়ে স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে বিক্ষোভ দেখান কিছু যাত্রী। ওই ট্রেন ১২টাতেও না-আসায় দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ হয়। রেল পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের চার জনকে গ্রেফতার করে। সাড়ে ১২টার পরে ট্রেনটি এলে বিক্ষোভ থামে। ধৃতদের শুক্রবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের পাঁচ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Indian Railway Eastern Railway
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy