অভিযুক্ত: ধৃত হাজি আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব চিত্র
একটি শিশুর অসুখ সারানোর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তার মাকে প্রায় তিন মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগে এক কবিরাজকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে হাওড়ার জয়পুরের সেহাগড়ি এলাকা থেকে হাজি আব্দুল কুদ্দুস নামে বছর পঞ্চান্নর ওই কবিরাজকে ধরা হয়। তাঁর বাড়ি আমতার দক্ষিণ নারিট এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক ধরে সেহাগড়িতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে কবিরাজি শুরু করেন কুদ্দুস। একই সঙ্গে ঝাড়ফুঁকও করতেন। মাসচারেক আগে তাঁর কাছে আসেন জয়পুরের ভাতেঘড়ি এলাকার ওই মহিলা। তাঁর বছর পাঁচেকের ছেলে দুর্বলতাজনিত সমস্যায় ভুগছে। সেই অসুখ সারানোর জন্য কুদ্দুস মহিলাকে প্রথমে কিছু ওষুধ এবং তাবিজ-কবচ দেন। পরে ঝাড়ফুঁকও করেন। কিন্তু তাতেও কাজ না-হওয়ায় কবিরাজ এর পরে মহিলাকে তাঁর সঙ্গে সহবাসের নিদান দেন বলে অভিযোগ। এমনকী, তাঁর স্বামী-সন্তানের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে ভয় দেখান বলেও অভিযোগ। তার পর থেকেই মহিলাকে একাধিকবার ওই কবিরাজ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
মহিলার স্বামী বাগনানের একটি লোহা কারখানায় কাজ করেন। ১৫ দিন অন্তর বাড়ি আসেন। শুক্রবার তিনি বাড়ি ফেরেন। ভয়ে এই তিন মাস স্বামীকে মহিলা কিছু জানাননি। কিন্তু শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় মহিলা স্বামীকে সব কথা জানান। লোকজন নিয়ে তাঁর স্বামী কুদ্দুসের কাছে যান। দু’পক্ষের বচসা হয়। কুদ্দুসকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এর পরে ওই মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কুদ্দুসকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতকে রবিবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিন আদালতে মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়। পুলিশ জানায়, কবিরাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ওই মহিলা বলেন, ‘‘কবিরাজ বলেছিলেন স্বামী ও ছেলের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। সেটা কাটাতে ওর সঙ্গে সহবাস করতে হবে। সংসারের কথা ভেবে কথা মানতে বাধ্য হই।’’ অভিযোগ মানেননি কুদ্দুস। তাঁর দাবি, ‘‘ওই মহিলা আমার কাছ থেকে ওষুধ, তাবিজ নিয়েও দাম দেননি। এখন আমি টাকা চাইতেই কুৎসা রটাচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy