প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রাক্তন মহিলা প্রধানের বাড়ি ভাঙচুর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। দলের বুথ সভাপতির উপরও উঠেছে হামলার অভিযোগ। শনিবার রাতে আরামবাগের রাংতাখালির ঘটনা।
সালেপুর ২ পঞ্চায়েতের ওই প্রাক্তন প্রধান এ বারও পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে নির্বাচিত এবং শিশু ও নারী উন্নয়ন উপসমিতির সঞ্চালক। রবিবার তিনি থানায় পঞ্চায়েত সদস্য শীতল শাসমল, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস কর, গ্রাম স্তরের নেতা গৌতম হাজরা সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুথ সভাপতি সুদর্শন বেরাও পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই প্রার্থীপদ নিয়ে উত্তপ্ত ছিল এলাকা। পরে অবশ্য উপর নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে দুই গোষ্ঠীর মিলেমিশে প্রার্থী পদের টিকিট দেওয়া হয় এবং বোর্ড গঠনও হয়।
কিন্তু বোর্ড গঠনের পর থেকেই এলাকায় কর্তৃত্ব নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় প্রাক্তন প্রধানের স্বামী, বুথ সভাপতি সুদর্শন বেরা এবং নতুন পদ পাওয়া পঞ্চায়েত সদস্য শীতল শাসমল, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তাপস কর, গ্রাম স্তরের নেতা গৌতম হাজরাদের মধ্যে।
সেই টানাপড়েনের জেরে শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম দফায় সন্ধ্যা রাংতাখালির হাসপাতাল মোড় বাজারে দলের বুথ সভাপতি সুদর্শন বেরাকে ঘিরে রুইদাস পাড়ার স্থানীয়দের একাংশ ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এবং হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। সুদর্শনবাবু পুলিশে খবর দেন। রাত ১০ টা নাগাদ গ্রামে পুলিশ আসে। পুলিশের সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানের স্বামীকে দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পাড়ার মানুষ। প্রাক্তন প্রধানের স্বামী কোনওমতে পালালেও রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
প্রাক্তন প্রধানের অভিযোগ, “আমাদের দলেরই কয়েকজন দুষ্কৃতী পাঁচিল টপকে ঘরে ঢুকে পড়েছিল। ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ওরা। বাধা দিতে গেলে আমার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পোষাক ছিঁড়ে দেয়। আমার শ্লীলতাহানিও করা হয়।”
ওই বাড়িতে হামলার পর রাত ১১টা নাগাদ বুথ সভাপতি সুদর্শন বেরার বাড়ি সামনে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সুদর্শনবাবু বলেন, “দলের স্বঘোষিত নেতা গৌতম হাজরা রুইদাস পাড়ার লোকদের পরিকল্পিতভাবে খেপিয়ে এই অশান্তি করল। এর একটা বিহিত চাই।”
অন্য দিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শীতল শাসমল, তাপস কর, গৌতম হাজরাদের বক্তব্য, “ঘটনার সঙ্গে আমাদের যোগ নেই। গত ৫ বছর ধরে প্রাক্তন প্রধানের স্বামীর দুর্নীতি, তোলাবাজি এবং সন্ত্রাসে জেরবার ছিলেন মানুষ। গণরোষের শিকার হয়েছেন তাঁরা।”
আরামবাগ বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার কথায়, “অশান্তির খবর পেয়েছি। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। দলের পক্ষেও বিষয়টা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy