চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করা ৪১৯ জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অবশেষে একমত হলেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যেরা। লোকসভা ভোটের পরে শুক্রবার ছিল প্রশাসকমণ্ডলীর প্রথম বৈঠক। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, সব কর্মীকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। সরকারি নির্দেশ আসার পরেই শুরু হবে নিয়োগ-প্রক্রিয়া।
প্রসঙ্গত, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে হাওড়ার পূর্বতন তৃণমূল বোর্ড পুরসভার বিভিন্ন দফতরে ৪১৯ জন যুবক-যুবতীকে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করে। প্রথম থেকেই তাঁদের বেতন নিয়ে ডামাডোল চলছিল। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নির্বাচন না করেই পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। তিনি দায়িত্ব নিয়েই ওই অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং পুর কোষাগারের অবস্থা বেহাল, এই কথা বলে ৪১৯ জনের বেতন বন্ধ করে দেন। ফলে প্রায় আট মাস কাজ করেও বেতন পাননি ওই কর্মীরা।
কিন্তু এই অবস্থাতেও যাতে পুর পরিষেবা ব্যাহত না-হয়, সে জন্য হাওড়ার তিন মন্ত্রী অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্ল-সহ প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী এবং আরও দু’জনকে নিয়ে ছয় সদস্যের প্রশাসকমণ্ডলী গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে ওই অস্থায়ী কর্মীরা একাধিক বার পুর কমিশনার এবং শেষে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। তাতেই টনক নড়ে জনপ্রতিনিধিদের।