কংগ্রেসের সভা মঙ্গলবার চুঁচুড়ায়। ছবি: তাপস ঘোষ
হুগলিতে আইন অমান্য অভিযান করল জেলা কংগ্রেস। মঙ্গলবার দুপুরে চুঁচুড়ায় পুলিশ কমিশনারেট অফিসের সামনে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়। তার আগে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, চাঁপদানির বিধায়ক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে খাদিনা মোড় থেকে ঘড়ির মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়।
ঘড়ির মোড়ে সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, এআইসিসি-র তরফে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ, প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সি, আবু হাসেম খান চৌধুরী, অমিতাভ চক্রবর্তীরা। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তাঁরা।
এ রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা খারিজ করে সোমেন বলেন, ‘‘এখানে ওদের সঙ্গে চলার বাধ্যবাধকতা আমাদের নেই। আমাদের সাংসদ, বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেবে, কর্মীদের মিথ্যা মামলা দেবে, এ ভাবে জোট হয়?’’ সিভিক-শিক্ষক নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন সোমেন। ক্লাব-সংগঠনে টাকা দেওয়া নিয়ে তাঁর ক্ষোভ, ‘‘এত খয়রাতি করলে সম্পদ তৈরি হবে কোন টাকায়?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘প্রতিদিন মহিলারা লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তাদের কথা ভাবার সময় নেই মুখ্যমন্ত্রীর। অথচ সুচিত্রা সেন মারা গেলে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে পারেন।’’ গগৈয়ের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল ব্রিগেডে যাঁদের নিয়ে সভা করল, তাঁদের অর্ধেকে বলে দিয়েছেন, রাহুল গাঁধী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগ্য। এত ভাল মঞ্চ তৈরির জন্য তৃণমূলকে ধন্যবাদ।’’
রাজ্যে শিল্পের বেহাল দশার অভিযোগ তুলে দীপা বলেন, ‘‘চপ আর মদই যেন শিল্প। এ বার হয়তো মদ্যপানের প্রতিযোগিতা করে মদশ্রী পুরস্কার দেওয়া হবে।’’ ডালুবাবুর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল গণতন্ত্রের সহবত না মেনে অন্য দল ভাঙছে।’’
সভার পরে প্রদীপবাবু, গগৈ, দীপাদের নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। দীপা, গগৈ দু’টি ব্যারিকেড ভাঙার পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারের কথা ঘোষণা করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy