Advertisement
E-Paper

মিড-ডে মিলের সামগ্রী কেনা ঘিরে বিতর্ক

ব্লক প্রশাসনের দাবি, কয়েকটি স্কুলের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনা পরিস্থতিতে মিড-ডে মিলের সামগ্রী কিনতে তারা অসুবিধায় পড়ছে। সে দায়িত্ব ব্লক প্রশাসনকে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। চাল-ছোলাও সরবরাহ করবে প্রশাসনই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৪৪
মিড-ডে মিলের সামগ্রী প্যাকেট-বন্দি করা হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র

মিড-ডে মিলের সামগ্রী প্যাকেট-বন্দি করা হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র

এলাকার স্কুলগুলির মিড-ডে মিলের সাবান এবং আলু কেনার দায়িত্ব নিয়েছে গোঘাট-১ ব্লক প্রশাসন। এর জেরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঠিকাদারদের একাংশের অভিযোগ, দরপত্র না-ডেকে ওই কাজ হচ্ছে। প্রতিবাদে বুধবার তাঁরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অস্বচ্ছতার অভিযোগ মানেননি বিডিও সুরশ্রী পাল।
সাধারণ ভাবে মিড-ডে মিলের সামগ্রী স্কুলগুলিই কেনে। ব্লক প্রশাসনের দাবি, কয়েকটি স্কুলের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনা পরিস্থতিতে মিড-ডে মিলের সামগ্রী কিনতে তারা অসুবিধায় পড়ছে। সে দায়িত্ব ব্লক প্রশাসনকে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। চাল-ছোলাও সরবরাহ করবে প্রশাসনই।
মনসা মণ্ডল, শেখ মিরাজুল ইসলামের মতো অনেক ঠিকাদারের দাবি, ব্লক প্রশাসন যখন আলু এবং সাবান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছে, তখন দরপত্র ডেকে ঠিক হোক, কে বা কারা সেই দুই সামগ্রী বিক্রি করবেন। জেলার সব স্কুলে মিড-ডে মিলের সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকা উচিত। ব্যবসায়ীদের নিয়ে পক্ষপাতিত্ব তা হলে থাকবে না।
ঠিকাদারদের প্রশ্ন, কাদের থেকে সামগ্রীগুলি কেনা হবে, তা ঠিক হবে কিসের ভিত্তিতে? কে-ই বা তা ঠিক করবেন? তাই তাঁরা দরপত্র ডেকে ওই সব সামগ্রী কেনার দাবি তুলেছেন।
জেলা প্রশাসনের একাংশও ঠিকাদারদের তোলা প্রশ্নগুলি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই বিষয়টির সঙ্গে ব্লক প্রশাসনের যুক্ত থাকা ঠিক হবে না। নিয়ম অনুয়ায়ী মিড-ডে মিলের টাকা স্কুল পরিচালন সমিতির কাছে যায়। তারাই সব ব্যবস্থা করে। এখানে প্রশাসনের কোনও ভূমিকা থাকা ঠিক নয়।’’
বিডিও সুরশ্রী পাল অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘কোনও অনিয়ম হওয়ার প্রশ্ন নেই। তবে ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলা হবে। এক্তিয়ারের মধ্যে থেকে নিয়ম মেনে যা করার, তা করেছে ব্লক প্রশাসন। মিড-ডে মিলের সামগ্রীর গুণগত এবং পরিমাণ বজায় রাখতেই স্কুল পরিদর্শকদের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় ভাবে ব্লক থেকে সামগ্রী সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু স্কুল শিক্ষকও কেনাকাটায় অসুবিধার কথা জানিয়েছিলেন। শনিবার সমস্ত স্কুলে সেই সব সামগ্রী পৌঁছেও গিয়েছে।”
প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রদীপ আচার্য জানান, সাধারণ ভাবে স্কুলগুলিকেই মিড-ডে মিলের সামগ্রী কিনতে বলা হয়। তাতে তারা স্বাধীন ভাবে কেনা-কাটা করতে পারে। বিডিও-ও কিনতে পারেন। তবে টেন্ডার কিংবা কোটেশন ডাকা বাধ্যতামূলক। গোঘাট ২ ব্লকের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
চলতি মাসে হুগলি জেলায় মিড-ডে মিলের সামগ্রী বিতরণ করা হবে ৮-১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পড়ুয়াদের মাথাপিছু বরাদ্দ ২ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি ছোলা এবং একটি করে সাবান।

Mid Day Meal Hooghly Goghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy