Advertisement
E-Paper

করোনামুক্ত হয়ে উর্দিবাজারের ১২ জন বাড়িতে

সম্প্রতি চন্দননগরের উর্দিবাজারে পঞ্চাশ জনেরও বেশি বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০১:৫৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন চন্দননগরের উর্দিবাজারের ১২ জন বাসিন্দা। শুক্রবার শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতাল থেকে তাঁরা ছাড়া পান। হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওঁদের মধ্যে করোনার কোনও লক্ষণ আর নেই। নির্দিষ্ট সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী ওঁরা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।’’

শ্রমজীবী হাসপাতাল সূত্রের খবর, এ দিন চার বালক-বালিকা, পাঁচ মহিলা এবং তিন যুবককে ছাড়া হয়েছে। তাঁরা সুস্থ হয়ে ফেরায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুশি। উর্দিবাজারেরই করোনা আক্রান্ত ৬ মাসের এক শিশুও সম্পূর্ণ সেরে উঠেছে। তবে তার মা হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এখনই শিশুটিকে ছাড়া হয়নি। মা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলেই শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন।

সম্প্রতি চন্দননগরের উর্দিবাজারে পঞ্চাশ জনেরও বেশি বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উদ্বেগ তৈরি হয়। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য প্রশাসন তৎপর হয়। করোনায় আক্রান্তদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের সংস্পর্শে আসা বেশ কিছু মানুষকে কোয়রান্টিনে (নিভৃতবাসে) রাখা হয়। পরে সেখানে থাকা যাঁদের করোনা পজ়িটিভ হয়, তাঁদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সংক্রমণ ঠেকাতে বাঁশের ব্যারিকেডের উপরে টিন এবং প্লাইউড দিয়ে উর্দিবাজারে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এলাকার দোকানপাট, স্থানীয় বাজার বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেন। কেউ যাতে অনাবশ্যক বাইরে না বের হন, সেই ব্যাপারে প্রচারে জোর দেওয়া হয়। এখনও আনাজ, মাছ, ফল ভ্যানে করে পাড়ায় পাড়ায় যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, উর্দিবাজারে মূলত ১২-১৩টি পরিবারের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। সংক্রমণ আরও ছড়িয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে আশপাশের এলাকাতেও অনেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই সব রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে।জে‌লা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে কোয়রান্টিন থেকেও অনেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন। নতুন করে ওই এলাকায় সংক্রমণ ঘটেনি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এটা তার সুফল।’’

এক সঙ্গে ১২ জন ছাড়া পাওয়ায় প্রশাসনের আধিকারিকরা কিছুটা স্বস্তিতে। স্থানীয় বাসিন্দারাও অনেকটা চিন্তামুক্ত। তবে, স্বস্তি ফিরলেও জন সচেতনতায় ঢিলে দিতে রাজি নন প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁরা জানান, লকডাউন বিধি সবাই যাতে মেনে চ‌লেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy