Advertisement
E-Paper

শ্রীরামপুর-ডানকুনিতে বাড়তি সতর্কতা, বন্ধ হচ্ছে বহু বাজার

মাহেশ-সহ শ্রীরামপুর পুরসভার মোট ১৭টি ওয়ার্ডে (৪, ৫, ৬ এবং ১৩ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড) আজ থেকে বাজার বাজার বসবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ০৪:২৮
সুনসান: জাঙ্গিপাড়ার মুণ্ডুলিকা বাজার বন্ধ।  

সুনসান: জাঙ্গিপাড়ার মুণ্ডুলিকা বাজার বন্ধ।  

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ হিসেবে চিহ্নিত শ্রীরামপুর এবং ডানকুনির বহু বাজার বন্ধ করে
দিচ্ছে প্রশাসন।

শ্রীরামপুর শহরের, বিশেষত মাহেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা চিন্তিত। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, মাহেশ-সহ শ্রীরামপুর পুরসভার মোট ১৭টি ওয়ার্ডে (৪, ৫, ৬ এবং ১৩ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড) আজ থেকে বাজার বাজার বসবে না। ডানকুনি পুরসভার ৬টি ওয়ার্ডেও (১১ থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড) একই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চিহ্নিত জায়গাগুলিতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ‘হোম ডেলিভারি’র মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে আপাতত ৩৫৫ জনের একটি দল তৈরি করা হচ্ছে। ওই দলের সদস্যেরাই বাড়ি বাড়ি প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেবেন। এ জন্য বাড়তি লোকজনের প্রয়োজন হলে প্রশাসন অন্য এলাকা থেকে তা জোগাড় করবে। মুদির দোকান সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

বুধবার এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেই ওই সিদ্ধান্ত হয়। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও জানান, মাহেশ ও ডানকুনিতে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকাতে মানুষজন যাতে বাইরে না বের হ‌ন, সেই কারণেই প্রশাসন আরও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি ১০০ জনের জন্য এক জন করে ডেলিভারি-ম্যান রাখা হবে। মুদি দোকান বা আনাজ বিক্রেতাকে বলে দেওয়া হবে যাতে তাঁরা মানুষের বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ফর্দ নিয়ে আসেন। পরে সেই জিনিস তাঁরা নির্দিষ্ট বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। মানুষ কোনও মতেই বেরোতে পারবেন না। এই নতুন ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে জেলার বৃহত্তর কন্টেনমেন্ট এলাকায় পৌঁছে যাবে।’’

এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের ভালর জন্যই সাধারণ মানুষকে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি মেনে চলতে হবে।’’ শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে আনাজ এবং মাছ বিক্রেতারা যাবেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস মানুষের বাড়িতে পৌঁছতে যাতে সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।’’

জেলার যে সব এলাকাকে ‘কন্টেনমেন্ট’ বা ‘গণ্ডিবদ্ধ রাখা’ হচ্ছে, তার তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেও এ দিন মাহেশ বাজারে আনাজ ও মাছ বিক্রেতাদের ঘিরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গিয়েছে। প্রশাসনের উদ্বেগ যে অনেক মানুষকেই বিশেষ নাড়া দেয়নি, তা বাজারের হাল দেখেই পরিষ্কার। এ দিন শ্রীরামপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নেহরুনগর কলোনির একটি জায়গায় দমকলের তরফে স্যানিটাইজ় করা হয়।

শ্রীরামপুর, ডানকুনি বাদেও উত্তরপাড়া-কোতরং, কোন্নগর, রিষড়া, বৈদ্যবাটী, চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর পুরসভা এবং চণ্ডীত‌লা ১ ও ২, জাঙ্গিপাড়া এবং শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কিছু জায়গাকে ‘গণ্ডিবদ্ধ রাখা’ হয়েছে। তবু এ সব জায়গাতেও অনেক মানুষ সচেতন নন বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে এখানকার বিভিন্ন বাজার-হাট, পাইকারি মাছ বাজার, রাস্তার ধারের দোকানে ভিড় ছিল।

‘গণ্ডিবদ্ধ রাখা’ যাচ্ছে না চন্দননগরের বহু বাসিন্দাকেও। এ শহরেও এ দিন কিছু জায়গায় অকারণে মানুষ রাস্তায় ঘুরেছেন। পুলিশের মুখোমুখি হলে নানা অজুহাত খাড়া করছেন। চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ মাছ বাজারে সকালে ক্রেতারা ভিড় জমান। অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। চুঁচুড়া, ব্যান্ডেলের নানা জায়গায় রাস্তায় সেই তুলনায় মানুষ চোখে না পড়লেও গলিতে আড্ডা জমেছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy