Advertisement
E-Paper

কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়তে বাধা গ্রামে

শনিবার রাত থেকেই অবশ্য গ্রামবাসীরা ওই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলতে শুরু করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১৯
রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ মেথুল গ্রামের বাসিন্দাদের। —নিজস্ব চিত্র

রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ মেথুল গ্রামের বাসিন্দাদের। —নিজস্ব চিত্র

করোনা-আবহে বিভিন্ন জায়গায় কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি রাখতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর। যাতে সন্দেহভাজনদের সেখানে রেখে নজরদারি চালানো যায়। কিন্তু গোঘাট-১ ব্লকের ভাদুর পঞ্চায়েতের মেথুল গ্রামের কাছে সেই কেন্দ্র তৈরি করতে গিয়ে রবিবার বাধা পেলেন প্রশাসনের লোকজন। আপত্তি জানিয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। পাখা-সহ নানা সরঞ্জাম নিয়ে আসা একটি ভ্যান আটকে দেওয়া হয়। গোলমালের জেরে ফিরে আসতে হয় প্রশাসনের লোকজনকে।

শনিবার রাত থেকেই অবশ্য গ্রামবাসীরা ওই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলতে শুরু করেন। ওই রাতে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেথুলের গুদামঘরে একটি বড় জেনারেটর পাঠানো হয়। রবিবার সকালে কিছু স্ট্যান্ড ফ্যান-সহ সরঞ্জাম নিয়ে ইঞ্জিনচালিত দু’টি ভ্যান সেই চত্বরে ঢুকতে গেলে গ্রামবাসীরা বাধা দেন। অস্থায়ী ভাবে বাঁশ দিয়ে ওই এলাকা ঘিরেও দেওয়া হয়। মালপত্র ফিরে যায়।

গ্রামবাসীরা জানান, ওই গুদামঘর থেকে মাত্র ১০০ ফুট তফাতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। আর ২০০ ফুটের মধ্যে গ্রাম। ফলে, তাঁদের সংক্রমণের ভয় রয়েছে। গ্রামবাসীদের পক্ষে জন্মেঞ্জয় সাঁতরা বলেন, “আমরা বলেছি, গ্রামের এত কাছে কোয়রান্টিন কেন্দ্র করা যাবে না। অনেকটা দূরে কোথাও করা হোক। এমনিতেই আমরা আতঙ্কে আছি। এখানে কোয়রান্টিন কেন্দ্র হলে অশান্তি বেঁধে যেতে পারে।”

ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসীরা নিজেদের দাবিতে অনড়। বিডিও সুরশ্রী পাল বলেন, ‘‘অসুবিধা থাকবে না। গ্রামবাসীদের বোঝানো হয়েছে, কোয়রান্টিন কেন্দ্রে খালি সন্দেহভাজনদের রাখা হবে। তাঁদের সঙ্গে বাইরের কোনও যোগাযোগ থাকবে না। কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লকে মোট চারটি কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে দু’টি হচ্ছে ভিকদাসে, একটি শ্যাওড়ায়, আর একটি মেথুল গ্রামের কাছে খাদ্য দফতরের নবনির্মিত গুদামে। ওই গুদামে ৮০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাকি তিনটিতেও ৮০ থেকে ১০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে বাড়ানো হবে। এখনও পর্যন্ত আপত্তি এসেছে শুধু মেথুল থেকেই। কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলিতে রাখার জন্য এ দিন জিয়াউর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী ১০০ টি শয্যা তুলে দেন আরামবাগের মহকুমাশাসক নৃপেন্দ্র সিংহের হাতে।

Coronavirus Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy