Advertisement
E-Paper

করোনার প্রবেশ রুখতে নজর ভিন্ রাজ্যের ট্রাকে

বিভিন্ন রাজ্য থেকে পণ্যবাহী বহু ট্রাক পশ্চিমবঙ্গে আসে। হুগলির ডানকুনি, ধনেখালি মহেশ্বরপুর, কালীপুর হয়ে সেইসব ট্রাক দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে বা মুম্বই রোড হয়ে কলকাতায় ঢোকে।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২০ ০২:০৭
নজরে: ট্রাক চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দিল্লি রোডের ভদ্রেশ্বরের শ্বেতপুর মোড়ে। বুধবার দুপুরে। ছবি: তাপস ঘোষ

নজরে: ট্রাক চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দিল্লি রোডের ভদ্রেশ্বরের শ্বেতপুর মোড়ে। বুধবার দুপুরে। ছবি: তাপস ঘোষ

করোনার ‘অনুপ্রবেশ’ আটকানোই এখন মস্ত চিন্তা প্রশাসনের! এই ভাইরাস আটকাতে নানা পরিকল্পনা চলছে। প্রশাসনের আতস কাঁচের তলায় এখন ভিন্ রাজ্যের ট্রাক চালকেরাও। হুগলি জেলা প্রশাসনের দাবি, এই নিয়ে তারা সতর্ক।

বিভিন্ন রাজ্য থেকে পণ্যবাহী বহু ট্রাক পশ্চিমবঙ্গে আসে। হুগলির ডানকুনি, ধনেখালি মহেশ্বরপুর, কালীপুর হয়ে সেইসব ট্রাক দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে বা মুম্বই রোড হয়ে কলকাতায় ঢোকে। একই পথে এই রাজ্য থেকে ট্রাক যায় ভিন্ রাজ্যে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, এই সমস্ত ট্রাক বিশেষত যে সব গাড়ি দক্ষিণ ভারত থেকে এখানে আসছে তাদের চালক-খালাসির উপরে নজর রাখা উচিত।

অন্ধ্রপ্রদেশের ডিম এবং মাছ বাঙালির রসনা তৃপ্ত করে। এই মাছ-ডিমের বেশির ভাগই সড়কপথে আসে। আবার অনেক ট্রাক এই রাজ্য থেকে হুগলি হয়ে অসম লিঙ্ক রোড ধরে অসমে যায়। চিকিৎসকদের বক্তব্য, দক্ষিণ ভারতের বড় অংশ জুড়ে করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। তাই সেখান যাতায়াত করা ট্রাকের চালক-খালাসিদের নিয়ে চিন্তা থাকছেই। বিশিষ্ট চিকিৎসক শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উদ্বেগ নয়, সতর্কতা জরুরি। ভিন্ রাজ্য থেকে আসা ট্রাকের চালক ও খালাসির জ্বর, কাশির উপসর্গ থাকলে তাঁদের আলাদা জায়গায় পরীক্ষা করা জরুরি।’’

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বিভিন্ন জেলার সিএমওএইচ এবং পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, আন্তঃরাজ্য সীমানায় প্রতিটি ট্রাক পরীক্ষা করতে হবে। চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে, কারও শরীরে জ্বর, সর্দি-কাশির উপসর্গ আছে কি না। কেউ তথ্য গোপন করছে কি না, তাও বোঝার চেষ্টা করতে হবে। হুগলির পদস্থ পুলিশকর্তাদের দাবি, এই বিষয়ে পুলিশ সজাগ রয়েছে।

হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার ডিএসপি (ট্রাফিক) অয়ন সাধু বলেন, ‘‘আমরা ট্রাক মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছি। যে সব চালক-খালাসি ট্রাক নিয়ে অন্য রাজ্যে যান, তাঁদের অসুস্থতা সম্পর্কিত কোনও তথ্য থাকলে তা আমাদের জানাতে অনুরোধ করছি। অন্য রাজ্যে যেতে হলে ট্রাক চালক ও খালাসিরা যাতে সতর্ক থাকেন সেই ব্যাপারেও অনুরোধ করা হচ্ছে।’’ চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘‘পুলিশ চেষ্টা করছে। সরকারি স্তরেও প্রচার চলছে। তবে ব্যাক্তিগত স্তরে সচেতনতা খুব জরুরি।’’ বুধবার দিল্লি রোডের ভদ্রেশ্বরের শ্বেতপুর মোড়ে ট্রাফিক ইনস্পেক্টর মিল্টন বালা গাড়ি থামিয়ে চালক-খালাসিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা ট্রাকের লোকজনকে সর্তক করছি। কারও জ্বর বা অন্য উপসর্গ থাকলে স্বাস্থ্য দফতরকে জানাব।’’

Coronavirus Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy