Advertisement
E-Paper

সংক্রমিতের হার সিকিভাগ

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৪৬
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। সংক্রমিতের হার কমে হয়েছে সিকিভাগ। হুগলিতে জুলাই মাসের সঙ্গে অগস্টের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এমনই দাবি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের।

জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘জুলাইতে ২২ হাজার জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। অগস্টে ৫৪ হাজার পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষা অনুযায়ী জুলাইতে সংক্রমণের হার ছিল ১৮.৫%। অগস্টে তা ৪.৫%।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, এই জেলায় জনসংখ্যা প্রায় ৫৫ লক্ষ। অনেক এলাকা ঘিঞ্জি। এই সব জায়গায় সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। আনলক-পর্বে যখন সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তখন থেকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে পরিস্থিতি বাগে আনার চেষ্টা করা হয়। এই কাজে প্রশাসনের হাতিয়ার ‘ট্রিপল-টি’। অর্থাৎ ‘টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট’। প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, এই নীতি ধরে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সংক্রমিতের ব্যাপারে দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।

রাজ্য সরকার প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত হুগ‌লিতে মোট সংক্রিমিত ৭৬৫৬ জন। তার মধ্যে ৬৪৬০ জন সেরে গিয়েছেন। অ্যাক্টিভ ১০৬২ জন। জুলাই মাস পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ছিলেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার। অর্থাৎ অগস্ট মাসে প্রায় চার হাজার জন সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। সপ্তাহ দু’য়েক আগে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা দেড় হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। পরে বেশ কিছুটা নেমেছে। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যার বিচারে সব জেলার মধ্যে হুগলি এখন সপ্তমে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে জেলার সংক্রমণ-তথ্য বিশ্লেষণ করে সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংক্রমিতের শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। গৃহ-নিভৃতবাসে থাকা সংক্রমিত টেলি-মেডিসিনের চিকিৎসকের পরামর্শ পাচ্ছেন। কাউকে সেফ হাউসে রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। মৃত্যুহার কমাতে অক্সিজেন-নির্ভর চিকিৎসার পরিকাঠামো বাড়ানো হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘সংক্রমিতের সঙ্গে প্রশাসন যতটা সম্ভব সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করছে। এতে সংক্রমিতের ভরসা বাড়ছে। এখন ৮০ শতাংশ সংক্রমিত বাড়িতেই থাকছেন।’’

তবে আগামী দিনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের কর্তারা ভাবিত। লোকাল ট্রেন চালু হ‌লে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। তবে তাঁদের আশ্বাস, পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিকল্পনা করে পরিকাঠামো তৈরি করতে প্রশাসন প্রস্তুত। জেলাশাসক দফতরের দাবি, এখন দৈনিক তিন হাজারের বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এক লক্ষেরও বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা চার হাজারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে। এই মাসে সব মিলিয়ে ১ লক্ষ পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

Coronavirus Covid 19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy