Advertisement
E-Paper

সন্তানকে ভুলেই ভিড় ট্রেনে দম্পতি

রেল পুলিশ সূত্রের খবর, বেলুড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বিহারের লক্ষ্মীসরাইয়ের বাসিন্দা উপেন্দ্র মণ্ডল। সঙ্গে তাঁর চার বছরের মেয়ে শ্বেতা কুমারী, স্ত্রী ছাড়াও আরও ৬ জন মহিলা, এক জন পুরুষ আত্মীয়ও ছিলেন

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ০০:৫৮
হারানো-প্রাপ্তি: উদ্ধারের পরে পরিবারের সঙ্গে শ্বেতা। নিজস্ব চিত্র

হারানো-প্রাপ্তি: উদ্ধারের পরে পরিবারের সঙ্গে শ্বেতা। নিজস্ব চিত্র

ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের মহিলাদের কামরায় ওঠার পরে চার বছরের মেয়েকে আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না মা। ভেবেছিলেন মেয়ে রয়েছে বাবার কাছে অন্য কামরায়। অন্য দিকে বাবাও মনে করেছিলেন বাচ্চা মায়ের সঙ্গেই মহিলা কামরাতে রয়েছে। কিন্তু কয়েকটা স্টেশন যাওয়ার পরেই মেয়ের খোঁজ নিতে স্বামীকে ফোন করতেই ভুল ভাঙে সকলের। ভিড় ট্রেনে ওঠার সময় হারিয়ে গিয়েছে মেয়ে।

এর পরে সহযাত্রীদের পরামর্শে এক জংশন স্টেশনে নেমে রেল পুলিশের কাছে যাওয়ার পরে অবশ্য স্বস্তি মেলে ‌ভিন্‌ রাজ্যের ওই দম্পতির। এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যদেরও। তাঁরা জানতে পারেন, যে স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন সেখানেই রেল পুলিশের জিম্মায় রয়েছে বাচ্চা মেয়েটি। বুধবার রাতে এমনই ঘটনা ঘটেছে বেলুড়ে।

রেল পুলিশ সূত্রের খবর, বেলুড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বিহারের লক্ষ্মীসরাইয়ের বাসিন্দা উপেন্দ্র মণ্ডল। সঙ্গে তাঁর চার বছরের মেয়ে শ্বেতা কুমারী, স্ত্রী ছাড়াও আরও ৬ জন মহিলা, এক জন পুরুষ আত্মীয়ও ছিলেন। ওই দিন রাতে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে তাঁদের ৯ জনের দানাপুর এক্সপ্রেস ধরার পরিকল্পনা ছিল। সেই মতো সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁরা বেলুড় স্টেশন থেকে আপ ব্যান্ডেল লোকালে ওঠেন। উপেন্দ্র জানান, ট্রেনে প্রচন্ড ভিড় ছিল। ঠেলাঠেলি করে উঠতে হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘‘প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতেই ট্রেন ঢুকে যায়। খুব ভিড় দেখে আমরা পুরুষেরা অন্য কামরার দিকে ছুটে চলে যাই। তখন মেয়েটাও যে মাকে ছেড়ে আমাদের দিকে ছুটে এসেছে বুঝতে পারিনি। আমার স্ত্রীও ভেবেছেন মেয়ে আমার সঙ্গে উঠেছে।’’

এ দিকে রাত পৌনে ৮টা নাগাদ বেলুড় স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে টহল দেওয়ার সময় একা বাচ্চাটিকে কাঁদতে দেখেন রেলপুলিশের কর্মীরা। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘ওর নাম শ্বেতা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছিল না বাচ্চটি। শুধু কাঁদছিল আর বলছিল মাম্মির কাছে যাব।’’ এর পরেই শ্বেতাকে বেলুড় জিআরপি-তে নিয়ে আসা হয়। খবর পাঠানো হয় সমস্ত থানায়, স্টেশনে ও জিআরপি-তে। সেই মতো পূর্ব রেলের মেন লাইনের সব স্টেশনে ঘোষণা করা হয়। তার মধ্যেই শেওড়াফুলি স্টেশনে নেমে জিআরপি-র কাছে যান উপেন্দ্রবাবুরা। সেখানে থেকে শ্বেতার খবর জানতে পেরে ফের বেলুড়ে ফিরে আসেন তাঁরা।

বাচ্চাটির কান্না থামাতে লজেন্স, বিস্কুট কিনে দেন বেলুড় জিআরপি-র কর্মীরা। মহিলা পুলিশ কর্মীর দায়িত্বে রাখা হয় শ্বেতাকে। রাত ৯টা নাগাদ বেলুড়ে এসে মেয়েকে ফিরে পান উপেন্দ্রবাবুরা। তবে ওই দিন আর তাঁদের দানাপুর এক্সপ্রেস ধরা হয়নি।

Indian Rail
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy