লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে হাওড়ায়। বৃহস্পতিবার বালিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের পরে এ বার দক্ষিণ হাওড়ায় প্রচারের সময়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলল সিপিএম। তাদের অভিযোগ, শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ হাওড়ার বামফ্রন্ট প্রার্থী সুমিত্র অধিকারী যখন দক্ষিণ হাওড়ার গোয়াবেড়িয়া এলাকায় শালিমার পেন্টস কারখানার সামনে পথসভা করছিলেন, তখন একদল তৃণমূল সমর্থক হামলা চালায় বাম সমর্থকদের উপরে। এ নিয়ে স্থানীয় নাজিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিএম। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
হাওড়া জেলা বামফ্রন্টের অভিযোগ, পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী এ দিন সকাল থেকে দক্ষিণ হাওড়ায় টোটো চেপে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বামফ্রন্ট প্রার্থী ও সমর্থকেরা। এলাকার বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে প্রচার করেন সুমিত্র। ঠিক ছিল, শালিমার পেন্টসের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ করা হবে। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাও দেবেন তিনি। সেই মতো ওই বাম প্রার্থী যখন গোয়াবেড়িয়ায় এসে পৌঁছন, তখন এলাকার একদল তৃণমূল সমর্থক তাঁদের ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ওই যুবকেরা প্রার্থীর হাত থেকে মাইকে কেড়ে নেয়। তার ছিঁড়ে দেয়। হুমকি দিয়ে বলে, তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দল সেখানে প্রচার করতে পারবে না।
ঘটনার প্রতিবাদ করেন বামফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, তখন ওই তৃণমূল সমর্থকেরা বামফ্রন্টের মহিলা কর্মীদের দিকে তেড়ে যায়। এর পরে আর বিরোধিতার পথে না গিয়ে সেখান থেকে সরে যান বামফ্রন্টের কর্মীরা। এ বিষয়ে হাওড়া জেলা সিপিএমের সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, ‘‘অনুমতি থাকা সত্ত্বেও এ দিনের প্রচার-পরিক্রমায় পুলিশকে যেমন দেখতে পাওয়া যায়নি, তেমনই নির্বাচন কমিশনের চিত্রগ্রাহকেরাও ছিলেন না।’’
অভিযোগ প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায়ের দাবি, ‘‘ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই। শালিমার পেন্টসের সামনে শ্রমিকেরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। কারখানার সামনে সিপিএম নেতাদের দেখে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy