সোমবার সন্ধ্যায় গোঘাট গ্রামে তিন সিপিএম নেতার বাড়িতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। রাতে আক্রান্তদের একজন থানাপাড়ার তারক বিশ্বাসকে বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে ধরে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি থেকে ২ রাউন্ড গুলি-সহ একটি পিস্তল পাওয়া গিয়েছে।
গোঘাট তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জন পাল বলেন, “অশান্তি করার জন্যই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রামে ঢুকেছিল তারক। ওই সিপিএম নেতার কঠোর শাস্তির দাবিতে আমরা থানায় বিক্ষোভও দেখিয়েছি।’’ মঙ্গলবার ধৃত নেতাকে আরামবাগ আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ থানাপাড়ায় তারক বিশ্বাসের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর করা হয় তাঁর মোটর সাইকেল। এর পরেই নন্দীপাড়ায় সিপিএমের লোকাল কমিটির সদস্য স্বপন মণ্ডল এবং রায়পাড়ায় জোনাল কমিটির সদস্য ভাস্কর রায়ের বাড়িতে ইট ছুড়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। সিপিএম নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। এরপরেই রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তৃণমূলের তরফে থানায় দাবি করা হয় তারকবাবুর বাড়ি তল্লাশি করতে হবে। পুলিশ গিয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজে কিছু না পেয়ে ফিরে আসে। তারপরেও তৃণমূলের পক্ষে ফের তল্লাশির দাবি উঠলে দ্বিতীয়বারও পুলিশ গিয়ে কিছু না পেয়ে ফিরে আসে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তৃণমূল ফের তল্লাশির দাবি জানিয়ে থানায় বিক্ষোভ দেখায়। ফের পুলিশ তারকবাবুর বাড়িতে যায়। তবে এ বার আর তাদের খুঁজতে হয়নি। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাই বাড়ি সংলগ্ন একটি শৌচাগারের ছাদে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা আছে বলে পুলিশকে দেখিয়ে দেয়।
সিপিএমের গোঘাট জোনাল সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “২০১১ সালের পর শনিবারই অসুস্থ ৮০ বছরের বৃদ্ধা মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছিলেন তারক। ষড়যন্ত্র করে বাড়িতে পিস্তল রেখে তাঁকে ফাঁসিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy