Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
আমপানের পরে সপ্তাহ পার
Cyclone Amphan

কবে আসবে বিদ্যুৎ, প্রশ্ন ওড়ফুলিতে

বিদ্যুৎ না আসায় আলো-পাখা যেমন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তেমনই বিঘ্নিত হচ্ছে পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জেনারেটরের সাহায্যে পাম্প চালাচ্ছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নুরুল আবসার
বাগনান শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০৫:২২
Share: Save:

ঝড়ের পরে কেটে গিয়েছে পুরো সাত দিন। এখনও পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হল না বাগনান-২ ব্লকের ওড়ফুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে। সারা এলাকায় বহু গাছ ভেঙে পড়ে আছে। সরানো হয়নি সেগুলিও। সব মিলিয়ে দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন বলে বাসিন্দারা জানান।

এই পঞ্চায়েত এলাকায় বহু গাছ ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মারের উপরে। এছাড়া বহু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। সেগুলি এখনও পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি। ফলে সিংহভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি।

বিদ্যুৎ না আসায় আলো-পাখা যেমন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তেমনই বিঘ্নিত হচ্ছে পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জেনারেটরের সাহায্যে পাম্প চালাচ্ছে। তাতে দিনে মাত্র দু'ঘণ্টা করে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু এতে সমস্যা মিটছে না। বাসিন্দারা ভিড় জমাচ্ছেন নলকূপগুলিতে। যাঁদের বাড়িতে পাম্প আছে, তাঁরা জেনারেটর ভাড়া করে পানীয় জল তুলছেন। এতে ঢাকের দায়ে মনসা বিকিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানান। পিপুল্যান গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর খাঁড়া বলেন, ‘‘জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জেনারেটর বসিয়ে পাম্প চালাচ্ছে। কিন্তু দিনে মাত্র ২ ঘণ্টা করে জল পাওয়া যাচ্ছে। তাতে সমস্যা না মেটায় বাইরে থেকে জেনারেটর ভাড়া করে পাম্প থেকে জল তুলতে হচ্ছে।’’

আমপান ঝড়ের গতিবিধি যে বাগনান- ব্লকে বিপর্যয় সষ্টি করতে পারে সেই সম্ভাবনা আবহাওয়া দফতর দিয়েছিল। সেই কারণে যাঁদের মাটির বা ছিটেবেড়ার বাড়ি, তাঁদের অন্য জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে হতাহত হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ঝড় কার্যত লন্ডভন্ড করে দিয়েছে এই ব্লককে। তারই প্রভাব পড়েছে ওড়ফুলি পঞ্চায়েতেও।

কিন্তু ঝড়ের পরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার কাজটি হচ্ছে না বলে এই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে আছে। সেগুলি সরানো হয়নি। গ্রামবাসীরাই নিজেদের গাঁটের

কড়ি খরচ করে যতটা পারছেন ভেঙে পড়া গাছগুলি সরাচ্ছেন। কিন্তু তাতে খুব বেশি ভেঙে পড়া গাছ সরানো সম্ভব হয়নি বলে বাসিন্দারা জানান।

বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে পুরো এলাকা ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে থাকছে। পুরো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা যেন আতঙ্কপুরী। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আলোর অভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করতে পারছেন না বলে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।

তবে ব্লক প্রশাসন কর্তাদের দাবি, বেশিরভাগ এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসছে। বাকি এলাকাগুলিতেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, জেলার প্রায় সব জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ৬০ শতাংশ জায়গাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য এলাকাগুলিতে কাজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cyclone Amphan Bagnan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE